মুক্তবার্তা ডেস্ক: চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নাগরিক সচেতনতার বিকল্প নেই উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘আমরা চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আক্রান্তদের সেবায় কল সেন্টার খুলছি, আশা করি আগামী দশ দিনের মধ্যেই চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
শনিবার নগর ভবন প্রাঙ্গণে ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সুশীল সমাজ, এনজিও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে চিকুনগুনিয়া নিয়ে সচেতনমূলক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, ‘ডিএসসিসির হটলাইন চালু করার পর থেকে চিকনগুনিয়া সম্পর্কে তথ্য জানতে গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত ৩১ হাজার ৮৫৬টি ফোন এসেছে নাগরিকদের কাছ থেকে। শুধু ডিএসসিসি এলাকা থেকে এত ফোন আসেনি। দেশের বিভিন্ন এলাকা ও দেশের বাইরে থেকেও এই ফোন কল এসেছে, বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য। এছাড়া ২২ হাজার ১১২ জন নাগরিক কল করেছেন পরামর্শ ও ওষুধের জন্য। এর মধ্যে ডিএসসিসি এলাকার এক হাজার ৪৩০ জন নাগরিক ফোন করেছেন তথ্য, চিকিৎসক সেবা ও ওষুধের জন্য।’
ডিএসসিসি এলাকা থেকে ৩৩৬ জন সরাসরি চিকিৎসা নেয়ার জন্য ফোন দিয়েছেন উল্লেখ করে খোকন বলেন, ‘তাদের মধ্যে ১৬৬ জন রোগীকে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যেখানে পরামর্শ চেয়েছেন ১২৮ জন। এছাড়া ৩৭ জনকে কল ব্যাক করে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশক নিধন কাজে নিয়োজিত ৩০৩ জন স্প্রে ম্যান ১৪৮টি ফগার এবং ২৭১ টি হস্তচালিত মেশিন দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে মশক নিধন কার্যক্রম।
চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আমাদের প্রচার ও মিডিয়ার গঠনমূলক সমালোচনার কারণে নাগরিকরা সচেতন হয়েছে। তবুও মশা নিধনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় চিকনগুনিয়া নির্মূল করার ঘোষণা দিয়ে খোকন বলেন, ‘আমার মা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। মায়ের বিষণ্ণ মুখ দেখে আজ এখানে আসি। তাই আমি অন্য মায়েদেরও কষ্ট বুঝি। আমার ওপর আস্থা রাখুন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে চিকুনগুনিয়া মুক্ত করবো ডিএসসিসি।’