মুক্তবার্তা ডেস্ক:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘কুমিল্লায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন সুষ্ঠু গণতন্ত্রের সূচনা হবে কুমিল্লা থেকে। এর আগে কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি কোনো প্রশ্নবোধক নির্বাচন চান না। এর দ্বারা প্রমাণিত হলো তারা স্বীকার করেছেন অতীতের সবগুলো নির্বাচন প্রশ্নবোধক ছিল। তাই আমরা আশা করবো কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের সূচনা হবে।’
সোমবার দুপুরে কুমিল্লা ধর্মসাগর পাড়স্থ বিএনপির কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন। এ সময় বিএপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘কুসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার আশপাশের খুব প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বারবার বৈঠক করেছেন। এমনকি সিদ্ধান্তও নিয়েছেন ৩০ মার্চ এই নির্বাচনে আশপাশের লোকদের দিয়ে জাল ভোট দিয়ে তাদের প্রার্থীকে বিজয় করবেন। আমরা তথ্যটি অভিযোগের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’
নজরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের, যাদের সাথে আমরা নির্বাচন করছি তাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের দৃষ্টিান্ত খুবই কম। যেকোনো নির্বাচনে কারচুপি করায় তাদের ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলা করে মাইক ও গাড়ি ভেঙেছে। এমনকি চালক ও কর্মীকে মারধর করেছে। আমরা অভিযোগগুলো নির্বাচন কমিশনারের কাছে করেছি, এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই পর্যন্ত আমাদের মেয়র প্রার্থীর অনেক নেতাকর্শীকে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার আটক চালিয়ে আসছে। আমরা বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছি। এমনকি সাদা পোশাকে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কর্মীদের আটক করছে। তাদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করছে। প্রশাসনের এসব কর্মকাণ্ড একটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে রূপ নিয়েছে। যা প্রশাসনের আইনের মধ্যে পড়ে না।’
নজরুল বলেন, ‘আমরা আরও লক্ষ করছি কুসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অত্যাচার চালাচ্ছে। এমনকি বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কুসিক নির্বাচনে আমাদের একটা ক্ষতিগ্রস্ত করতে একটা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। যে চক্রান্ত সরকারি দলের একজন প্রার্থীর পক্ষে। কিন্তু আমরা বারবার বলেছি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। বর্তমানে এই নির্বাচনের জন্য যেমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন।’