মুক্তবার্তা ডেস্ক: শাহবাগে তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানের চোখে আঘাতের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ডিএমপি সদর দপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটি। বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ও তদন্ত কমিটির প্রধান মীর রেজাউল আলম। তদন্ত প্রতিবেদনে সাত পুলিশকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে চেন্নাইয়ে চিকিৎসাধীন সিদ্দিকের বাম চোখের কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক জাহিদ আহসান।
গত ২০ জুলাই ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে অংশগ্রহন করে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশের ছোড়া টিয়ার সেলে চোখে আঘাত পায় সিদ্দিকুর।
প্রথমে ফুলের টবের আঘাতে সিদ্দিক আঘাত পায় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হলেও বিভিন্ন মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায়, বিক্ষোভের সময় খুব কাছ পুলিশের ছোড়া টিয়ার সেল সিদ্দিকুরের চোখে লাগে। ঘটনাটি নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এরপর তড়িঘড়ি করে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে সদর দপ্তরের একটি তদন্ত কমিটি এবং রমনা বিভাগের পক্ষ থেকে গঠন করা হয় আরেকটি তদন্ত কমিটি।
ডিএমপি সদর দপ্তরের কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলেও কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি পুলিশের রমনা বিভাগের পক্ষ থেকে করা তদন্ত কমিটি।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, পুলিশের ছোড়া টিয়ার সেলের আঘাতেই সিদ্দিকুরের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তদন্তে পাওয়া গেছে। এছাড়াও ঘটনার দিন দায়িত্বরত থানার পুলিশ ও দাঙ্গা দমন পুলিশের কর্তব্যেও অবহেলা পাওয়া গেছে।
এ কারণে শাহবাগ থানার পরিদর্শক তদন্ত আবু জাফর আলী বিশ্বাস ও পরিদর্শক অভিযান আবুল কালাম আজাদ এবং দাঙ্গা দমন পুলিশের পাঁচ কনস্টেবলকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সিদ্দিককে টিয়ার সেল নিক্ষেপকারী পুলিশ সদস্যকেও চিহ্রিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানানো হয়।
এদিকে চেন্নাইয়ে চিকিৎসাধীন সিদ্দিকের সাথে থাকা চিকিৎসক জাহিদ আহসান জানান, অস্ত্রোপচারের পর সিদ্দিকের বাম চোখের কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
চিকিৎসা শেষে ১১ আগষ্ট সিদ্দিকের ভারতে থেকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।