মুক্তবার্তা ডেস্ক: ‘দেশে জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড এমনভাবে করতো, যাতে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাদের সঙ্গে জনগণও নেই, বিশ্বও নেই।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার কূটনৈকিভাবে এতিম হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম আ স ম হান্নান শাহের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এসব বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ বলেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারই পারবে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ যদি সঠিকভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতো তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষে এত বড় গণহত্যা চালানো সম্ভব হতো না। সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই এত বড় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। যদি সরকার সঠিক সময়ে সঠিকভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতো, তাহলে এই সঙ্কটে পরতে হতো না এবং সঙ্কট এত তীব্র হতো না।
হান্নান শাহকে স্মরণ করে ড. মোশাররফ বলেন, আজকে হান্নান শাহর মতো সাহসী নেতারা থাকলে একটা তৎপরতা চালাতো এবং বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতো। জনগণের সরকারই পারবে কূটনৈতিক তৎপরতা ভালোভাবে চালাতে।
আগামীতে প্রহসনের নির্বাচন করতে দেয়া হবে না মন্তব্য করে মোশাররফ বলেন, অবাধ এবং সকলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমাদের করতে হবে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। আমরা লেভেল প্লেইং ফিল্ড চাই, সহায়ক সরকারের দাবি জানাই। হান্নান শাহ থাকলে আজ তা-ই চাইতেন। নির্বাচন নিয়ে প্রহসন করতে দেয়া হবে না, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে দেয়া হবে না।
সরকারের সমালোচনা করে ড. মোশাররফ বলেন, বিচার বিভাগ ও সংসদ আজকে মুখোমুখি অবস্থানে নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের তিনটি যে স্তম্ভ, তা আজ মুখোমুখি অবস্থানে, জনগণের সরকার থাকলে আজ এ অবস্থা হতো না। এজন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।