মুক্তবার্তা ডেস্ক: রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকতে ও জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জিয়া পরিবারের সম্পদ পাচার নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যকে মিথ্যাচার ও কল্পকাহিনী বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। গতকাল সংসদে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিদেশে টাকা পাচারের তদন্ত হচ্ছে’ সংসদে প্রধানমন্ত্রীর করা এ মন্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। হীন রাজনৈতিক উদ্দেশে এই ধরণের মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে, রোহিঙ্গা সমস্যার মোকাবেলায় ব্যর্থতা ঢাকতে এই মিথ্যাচার করছেন।
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক গতি সঞ্চার করতে, বন্যা পরবর্তী সংকট মোকাবেলা করতে, বেহাল সড়ক সচল করতে, রাখাইনে গণহত্যা ও রোহিঙ্গাদের বিতাড়নে নিন্দা জানাতে ব্যর্থতা, চালের দাম কমাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ এই সরকার। আর তাদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই মিথ্যাচার।
নেত্রীর বিরুদ্ধে এই মিথ্যাচারের জবাব জনগণ দেবে বলেও জানান তিনি। এসময় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নামে বিদেশে যে কল্পিত সম্পদের কথা বলা হয়েছে তা হাস্যকর বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
একইসঙ্গে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই ধরণের কল্পকাহিনীর কোন প্রমাণ তারা ১০ বছর তন্নতন্ন করে খুঁজেও বের করতে পারেননি, এখনও পারবেন না। এই মিথ্যাচার শুধুমাত্র দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করবার হীন উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। এসময় এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ ও নিন্দা এবং এই ধরণের মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকার এবং ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির ত্রাণের গাড়ি আটকে দেয়ার প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ২২ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তারিখে কক্সবাজার থেকে উখিয়া রওনা দিলে পুলিশ বাধা দেয়। নেতৃবৃন্দকে বিএনপি অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের নামে সরকারি অর্থে ত্রাণ বিতরণ করেন।