শ্রমিকদের হয়রানি কমাতে আরও শ্রম আদালত প্রয়োজন

মুক্তবার্তা ডেস্ক:জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে তিনি এসব কথা বলেন। মে দিবস উপলক্ষে ‘শ্রম আদালতের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে আনুষ্ঠানিক এডিআর এর ভূমিকা’- শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের করা মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ করতে মালিকরা নানা তালবাহানা করেন। তাই আমাদের একটি রাস্তা বের করতে হবে যাতে বিচারটা দ্রুত সময়ে হয়। এ সংক্রান্ত শ্রম আইন কিছুটা সংশোধন করতে চাচ্ছি।’

চুন্নু বলেন, ‘সারাদেশে মাত্র সাতটি শ্রম আদালত। একজন ফেঞ্চুগঞ্জে সার কারখানায় কাজ করেন। তিনি যদি মামলা করতে চান তাহলে তাকে চট্টগ্রামে গিয়ে মামলা করতে হয়। দেশে যেভাবে শিল্পায়ন হচ্ছে তাতে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। শ্রম আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য আইনমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। ইতোমধ্যে সিলেট ও রংপুরে শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) সাধারণত উভয়পক্ষ না ঠেকলে করতে চায় না। মজুরিসংক্রান্ত মামলায় এডিআর এর বাস্তবায়নে মালিকদের আন্তরিক হতে হবে।’ অন্যথায় তা বাস্তবায়ন কঠিন বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

মজিবুল হক বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি শ্রমিককেই ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোনো সূযোগ নেই। তা সত্ত্বেও যদি এক্ষেত্রে কোনো শ্রমিক আবেদন করে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিক ও টেড্র ইউনিয়নগুলোকে তাদের অধিকার বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে। শ্রমিক সংগঠনগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। শ্রমসংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে সরকার। শ্রমিকদের জন্য টঙ্গিী ও নারায়ণগঞ্জে বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।’

Related posts

Leave a Comment