মুক্তবার্তা ডেস্ক: অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সহায়ক সরকার প্রয়োজন। সেই সহায়ক সরকার গঠনের জন্য আলোচনার প্রয়োজন বলে মনে করি। সেই দিক থেকে রোডম্যাপ দেয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার বিএনপির নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ দিয়েছে সেটা বিষয় নয়। দেশের প্রধান সংকট হচ্ছে নির্বাচন কীভাবে হবে। সেখানে সরকারের অবস্থানটা কী হবে। সরকার কোন জায়গায় থাকবে?
তিনি আরো বলেন, তাছাড়া রোডম্যাপ দিয়ে রাজনৈতিক সংকট সমাধান হবে না। এর সমাধান করতে হলে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এই মুহূর্তে প্রয়োজন নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের।
রোববার বেলা পৌনে ১২টায় আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করা হয়।
সাতটি কর্মপরিকল্পনা সামনে রেখে বই আকারে এই রোডম্যাপ প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
কে এম নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনী রোডম্যাপের এই দলীলই সব নয়। সময় ও বাস্তবতা বিবেচনা করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে আরো বাস্তবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কমিশন কর্মকর্তারা।
কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে- নির্বাচন ঘিরে ২৫ জুলাই থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সেই তালিকা ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি মধ্যে প্রকাশ করা, আগস্টে নির্বাচনী এলাকার সীমানা চূড়ান্তের কাজ শুরু করে পরের বছরের এপ্রিলের মধ্যে তা শেষ করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা, আগামী বছরের জুন থেকে ভোট কেন্দ্র নির্ধারণের কাজ শুরু করে ওই বছরের জুলাই মাসে ভোট কেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা এবং তার আগে মার্চের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন যাচাই করার কথা।