মুক্তবার্তা ডেস্ক:প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছেন, রাষ্ট্রের দুটি অঙ্গ যখন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তখন বিচার বিভাগ নীরব থাকতে পারে না। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পরদিন মঙ্গলবার একথা বলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিচারপতি সিনহা বলেন, “যখন রাষ্ট্রের দুটি অঙ্গ তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়, তখন বিচার বিভাগ নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারে না।”
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বিতর্কের মধ্যে রাষ্ট্রের তিন অঙ্গ আইন, শাসন ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ের কথা বলে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরিবিধির গেজেট প্রকাশ নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাকে পাশ কাটানোর অভিযোগ তোলার পর থেকে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে।
কর্মশালায় প্রধান বিচারপতি বলেন, “আইনের সীমার মধ্যে থেকে সুপ্রিম কোর্ট সব সময় সংবিধানের অন্যতম অভিভাবক হিসেবে দাঁড়িয়েছে।”
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “বিচারিক স্বাধীনতা মানে কোনো ধরনের প্রভাব বা হস্তক্ষেপ ছাড়া বিচারকের ক্ষমতা প্রয়োগ করা। বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতার মূল ও ঐতিহ্যগত অর্থ হলো- সরকারের রাজনৈতিক শাখাগুলো থেকে বিশেষত নির্বাহী সরকার থেকে বিচারকদের সামষ্টিক ও স্বতন্ত্র স্বাধীনতা। “ব্যক্তিগতভাবে একজন বিচারকের পরিপূর্ণ স্বাধীনতার উপাদানগুলো হল- ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, পারিপার্শ্বিক স্বাধীনতা এবং অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতা।”
বিচার বিভাগের কাজ করার ক্ষেত্রে সরকারের সমর্থন এবং রাষ্ট্রের অন্য অঙ্গগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “আইন ও নির্বাহী বিভাগের কাজের উপর আদালত বিচারিক পর্যালোচনার মাধ্যমে এবং কার্যকরভাবে পর্যবেক্ষকের (ওয়াচডগ) দায়িত্ব পালন করছে।