মুক্তবার্তা ডেস্ক:আবাসন ব্যবসায়ী থেকে মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট বনে যাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথায় এখন গুরুভার। মার্কিন সাম্রাজ্য সামলাতে হচ্ছে তাকে। আর তাই পারিবারিক ব্যবসা দেখভালের দায়িত্ব গিয়ে পড়েছে পুত্রদের কাঁধে।
গোটা দেশের দায়িত্ব পালনের কাজে এতোই ব্যস্ত যে, আজকাল ট্রাম্প টাওয়ারে যাওয়ার ফুসরতই মিলছে না মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ব্যবসার কাজে তাই ঘন ঘন বিদেশ সফরে যেতে হয় ট্রাম্প পুত্রদের। আর তাদের নিরাপত্তা দিতে পেছনে পেছনে ছুটতে হচ্ছে দেশের সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের। এভাবেই ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার দুই ছেলে এরিক ও ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের নিরাপত্তার পিছনে এখন পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ ডলার।
আর এই বিপুল অর্থের জোগান দিচ্ছেন মার্কিন করদাতারা। মার্কিন এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, ব্রিটেন ও আয়ারল্যাল্ড সফরে যান এরিকের সঙ্গে ছিলেন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। তাদের থাকা-খাওয়া আর ঘোরাফেরার জন্য বিলাসবহুল হোটেল এবং দামি গাড়ির ব্যবস্থা করতেই খরচ হয়েছে বেশ কয়েক হাজার ডলার। শুধু আয়ারল্যান্ড সফরের খরচই চোখ কপালে তোলার মতো। সেই সফরে গিয়ে এরিকের যাতায়াতের জন্য লিমুজিনে খরচ হয়েছে ৪ হাজার ডলার। আর সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টের হোটেলের বিল দাঁড়ায় সাড়ে ১১ হাজার ডলারে।
এক প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রেসিডেন্ট-পুত্রদের জন্য কোনও জায়গা নিরাপদ কি না, তা সফরের আগেভাগেই গিয়ে যাচাই করে আসেন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। সেই আগাম সফরের বিমান ভাড়াও কিছু কম নয়।
চলতি বছরের শুরু থেকে গত তিন মাসে ছয়বার আন্তর্জাতিক সফরে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট-পুত্রেরা। ব্রিটেন, উরুগুয়ে ও ডমিনিকান রিপাবলিকে এরিক একাই গিয়েছেন। আর দুবাই, ভ্যাঙ্কুয়ার ও কানাডায় তার সঙ্গে ছিলেন ভাই ট্রাম্প জুনিয়র। সবটাই পারিবারিক ব্যবসা কিংবা ব্র্যান্ড ট্রাম্পের প্রচারের জন্য। তাই প্রশ্ন উঠছে, এসবের খরচ দেশের করদাতারা পকেট থেকে কেন?