আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, ১৯৯২ সালে হুজিবি’র আনুষ্ঠানিক গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদের প্রথম পর্ব দাওয়া স্তরের শুরু। গত দেড় দশকে দ্বিতীয় স্তর ‘ইদাদ’ অতিক্রম করে এখন তৃতীয় ও চতুর্থ স্তর ‘রিবাত’ ও ‘কিলালে’র মাঝে কোনো এক পর্যায়ে অবস্থান করছে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ।
এছাড়া জঙ্গিদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে নব্য জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিম, এমন তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে একটি গোয়েন্দা সূত্র। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযানে মিলেছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক।
এসব অস্ত্র গোলাবারুদ সংগ্রহ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে প্রয়োজন বিপুল অর্থ। এসবের উৎস কি? প্রশ্ন ছিলো পুলিশ প্রধানের কাছে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘আমরা তাদের গ্রেফতার করার পর সে বলে ওমোক লোক আমায় দিয়ে যায়। এটি অলৌকিক। আর কারা এর ফাইন্যাস করে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু পাই না।’
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল অব. এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘হাসপাতাল, কোচিং সেন্টার থেকে শুরু করে ৫শ’ অধিক সেন্টারের তালিকা আছে। সেখানে ২ হাজারের বেশি মুনাফা হয়। সেই টাকার কোনো হিসাব নিয়ন্ত্রণে আছে। এই টাকার উৎস জঙ্গিরা কোথা থেকে পায় সেটির সরাসরি প্রমাণ আমরা হাতেনাতে ধরতে পেরেছি। আর সেটি পাকিস্তানের জঙ্গিবাদরা টাকার উৎস দিচ্ছে।’
দেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ও অর্থায়নের পেছনে ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জোরালো ভূমিকা আছে বলে মনে করেন নিরাপত্তা