রমজানে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুক্তবার্তা ডেস্ক:স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় পবিত্র রমজান মাসে অসুস্থতার হার তুলনা মূলকভাবে কম এবং অনেক ক্ষেত্রে রোজাদার ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ওজন, রক্তের কোলেস্টেরল এবং রক্তের চিনি খানিকটা কমে। তাছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে রমজানে স্বাস্থ্য সমস্যা পরিহার করা যায়। এক্ষেত্রে পরিমিত আহার, পর্যাপ্ত পানি পান এবং কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। তবে রোজাদারদের কারো কারো কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য :
অতিমাত্রায় ভাজা-পোড়া ও প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার ও পর্যাপ্ত পানি পান এবং খাবারে পর্যাপ্ত আশ জাতীয় খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

ইনডাইজেশন :
অতিরিক্ত খাবার পরিহার, পর্যাপ্ত পানি ও ফলের রস পান, অতিমাত্রায় তেলে ভাজা খাবার পরিহার, কার্বোনেটেড পানীয় যেমন; কোকোকলা পান পরিহার এবং ডিম-ডাল পরিহারের মাধ্যমে অজীর্নতা বা ইনডাইজেশন পরিহার করা যায়।

লো ব্লাড প্রেশার :
রমজানে অনেকের ক্ষেত্রে রক্তচাপ খানিকটা কমতে পারে। এক্ষেত্রে যাদের লো-ব্লাড প্রেশার আছে তারা আহারের সময় খানিকটা বাড়তি লবণ খেতে পারেন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি ও জুস পান করার মাধ্যমে লো-ব্লাড প্রেশার এর সমস্যা কাটিয়ে রোজা রাখতে পারেন।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া :
হাইপোগ্লাইসে-মিয়া বা লো ব্লাড সুগার সমস্যা রমজানে একটি অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা। মজার ব্যাপার হলো যারা নন ডায়াবেটিক তাদেরও হাইপ্রোগ্লাই-সেমিয়া হতে পারে। বিশেষ করে সেহেরীর সময় অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত শর্করা জাতীয় খাবার আহার এবং অতিমাত্রায় মিষ্টি জাতীয় খাবার আহারের কারণে শরীরে অতিমাত্রায় ইনসুলিন তৈরি করে। যার ফলে অনেকের রক্তের সুগার কমতে পারে।

তাই সেহেরীর সময় অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত। আর ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত।

পেপটিক আলসার ও হার্টবার্ণ :
যাদের পেপটিক আলসার নেই তাদেরও অনেক ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসের অজ্ঞতার কারণে এসিডিটি বাড়তে পারে। সৃষ্টি হতে পারে বুক জ্বালা-পোড়া বা হার্ট বার্ণ। পবিত্র রমজানে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার, কফি, চা ও কোলা জাতীয় পানীয় পরিহার করে নন পেপটিক আলসারের রোজাদার ব্যক্তিরা ভালো থাকতে পারেন।

এছাড়া যাদের পেপটিক আলসার আছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করে রোজা থাকতে পারেন। আজকাল আধুনিক পেপটিক আলসারের ওষুধ আছে যা একবার সেবনে সারাদিন এসিডিটি থেকে মুক্ত থাকা যায়।

খাদ্যাভ্যাস যেমন হওয়া উচিত :
দিনভর রোজা রেখে অনেকেই ইফতারিতে অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ ও তেলযুক্ত খাবার খান। সারাদিন খালি পেটে থাকার পর এধরনের খাবার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে পরিপাকে সমস্যা ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেজন্য যতটা সম্ভব এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

খাবারে লবণ পরিমাণ মতো খান। কেননা লবণ খেলে পানির তৃষ্ণা বেশি লাগবে। অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরে পানিশূন্যতা বেড়ে যেতে পারে। সারাদিন রোজা রাখার কারণে পানির চাহিদা মেটাতে অনেকেই অতিরিক্ত চিনি দিয়ে শরবত খেয়ে থাকেন। চিনির ওপর যতটা সম্ভব নির্ভরতা কমিয়ে আনুন।

Related posts

Leave a Comment