মুক্তবার্তা ডেস্ক:অতিরিক্ত চাঁদা আদায় বন্ধ, সিটি করপোরেশনকে স্বাস্থ্যসম্মত পশু জবাইখানা তৈরিসহ বিভিন্ন দাবি না মানলে পহেলা রমজান থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। প্রয়োজনে ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন সমিতির নেতারা।
রবিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামিম আহমেদ।
গরুর মাংসের ব্যবসা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ইজারাদারদের দ্বন্দ্ব চলছে। এই জেরে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুমকি দিল মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।
সংবাদ সম্মেলন বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ, সমস্যা ও দাবি তুলে ধরেন সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম। তিনি বলেন, দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ গরু ও খাসির মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। এর ফলে মাংস বিক্রি কমে যাওয়ায় দেশে অর্ধেকের বেশি মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, আন্দোলনের বিকল্প নেই।
এর আগে গত ১৩ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছয় দিনের কর্মবিরতি পালন করেছিলেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
রবিউল আলম বলেন, ‘দেশি চাঁদাবাজি বন্ধ হলে মাংসের দাম ৫০ টাকা দাম কমবে। আর ভারত থেকে গরু আনতে ভারতীয়দের যে চাঁদা দিতে হয়, তা বন্ধ হলে গরুর মাংসের কেজি ৩০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ৫০০ টাকা হবে।’