মুক্তবার্তা ডেস্ক: সহজে টাকা পাঠানো ও ওঠানো যায় বলে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং।
ঈদের আগে স্বজনদের কাছে টাকা পাঠাতে বাড়ে লেনদেন। তবে অর্থ লেনেদেনের এ মাধ্যমে একটু সতর্ক না থাকলে বড় বিপদ হতে পারে।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ডিবিবিএল মোবাইল ব্যাংকিং বা রকেট, ইসলামী ব্যাংকের এমক্যাশ প্রভৃতি সেবায় প্রতিদিন রেজিস্ট্রেশন করছেন নতুন নতুন গ্রাহক।
সহজে লেনদেন করা গেলেও সচেতন না থাকায় অনেকেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ঝামেলায় পড়েন। প্রতারণার শিকারও হচ্ছেন। তাই সচেতন থাকা উচিত।
সতর্ক থাকার কিছু নিরাপদ টিপস তুলে ধরা হলো…
গোপন রাখুন পিন নম্বর: মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর সব সময় গোপন রাখুন। মনে রাখবেন, কেউ পিন নম্বর জেনে গেলে সে আপনার মোবাইল থেকে টাকা তুলে নিতে পারবে। ফলে আর্থিকভাভে ক্ষতির মুখে পড়বেন আপনি।
ভিন্ন পিন দেয়া: অনেকের বিকাশ, ডিবিবিএল, এমক্যাশসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট আছে। প্রতি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পিন সেট করুন। এতে করে কেউ একটি পিনে জেনে গেলেও বাকি আইডিগুলো থাকবে নিরাপদ।
ভুয়া কাস্টমার কেয়ার সাবধান: প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিতে কিছু চক্র কাস্টমার কেয়ারের নামে ব্যবহরকারীদের ফোন করে তাদের পিন নম্বর চেয়ে থাকে। আপনার পিন নম্বর শুধু আপনারই জানা উচিত। ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার থেকে কখনই আপনার পিন নম্বর জানতে চাইবে না।
যদি কেউ কাস্টমার কেয়ারের ভুয়া পরিচয় দিয়ে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে পিন নম্বর জানতে চায়, তাহলে সাবধান হোন। পিন নম্বর না দিয়ে বরং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিং সেবার হেল্পলাইনে ফোন দিয়ে অভিযোগ করুন।
লটারি-পুরস্কার থেকে সাবধান: অনেক সময় হঠাৎ অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়, আপনি ১০ লাখ টাকার পুরষ্কার পেয়েছেন। এ অর্থ পেতে হলে অমুক নম্বর আপনাকে ২ হাজার টাকা পাঠাতে হবে।
তখন অনেকেই লোভে পড়ে মোবাইলে টাকা পাঠিয়ে দেন। অতি লোভ করা ভালো না। সুতরাং এসব ফাঁদ থেকে সাবধান হোন। এরূপ ফোন কলে কখনো বিশ্বাস করবেন না।
মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খোলার সময় নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করা উচিত। অনেক সময় সিমকার্ড হারিয়ে যেতে পারে। যদি আপনার সিমের কাগজপত্র ঠিক না থাকে তাহলে পুনরায় সিমটি তুলতে পারবেন না।
ফলে আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা টাকাও তোলা যাবে না। তাই মোবাইল ব্যাংকিং খুলতে নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করুন।
অ্যাকাউন্টের লেনদেন তথ্য মনে রাখা: অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে অ্যাকাউন্টে লেনদেনের তথ্য সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হয়। যেমন কাস্টমার কেয়ারে কোনো সমস্যায় পড়ে ফোন দিলে তারা ব্যাল্যান্স ও সর্বশেষ কয়েকটি লেনদেন সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে। এ ছাড়া অনেক সময় সফটওয়্যার জনিত জটিলতাও হতে পারে। তাই আপনার মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের কত টাকা জমা আছে সবসময় সেই হিসেবটা মনে রাখুন।
