মুক্তবার্তা ডেস্ক: দু’বছর আগে মাদারীপুরে খনন করা ৯টি খালের বেশিরভাগ অংশ ভরাট হয়ে গেছে। পানির অভাবে এলাকার কৃষকরা জমিতে সেচ সুবিধা না পাওয়ায় উৎপাদন কম হওয়ার আশংকা করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, প্রাকৃতিক কারণেই পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসক জানালেন, শিগগিরই ভরাট খালগুলো পুনরায় খনন করা হবে।
৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মাদারীপুর শহরে ইটেরপুল থেকে কালকিনির পাথুরিয়া পাড়ার খালটির আড়াই কিলোমিটার অংশ খনন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শহীদ ব্রাদার্স। কিন্তু সেই খালের পুরোটাই এখন পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। একই সময় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে সদরের সাতটি ও রাজৈর উপজেলার দুইটি খাল খনন করা হয়। বর্ষা মৌসুমে খালগুলোতে পানি পরিপূর্ণ থাকার কথা থাকলেও এর বেশিরভাগই ভরাট হয়ে গেছে। আর কর্তৃপক্ষের নজরদারী না থাকায় খালগুলো কচুরিপানাসহ ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে। এতে জমিতে পানি সরবরাহের অভাবে ফসল কম উৎপাদনের আশঙ্কা চাষিদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহার দাবী, প্রাকৃতিক কারণেই খালগুলো পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘মাটি যদি সিল্টেড হয় তাহলে বৃষ্টিতে সেই মাটি ধুয়ে খালের পানিতে জমা হয়। এই ধরণের ক্ষেত্রে খালটা বেশি ভরাট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’
অবশ্য শুকিয়ে যাওয়া খালগুলিকে বাচাতে দ্রুতই খননের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় এবং জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে জেলার সদর ও রাজৈর উপজেলায় ৩৪ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়।’