মুক্তবার্তা ডেস্ক:ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে বাংলাদেশের জনগণের আপত্তি আছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের এই বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘ভারত একটি বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সেখানে বড় নাগরিক শক্তি আছে। এই দেশের কমনসেন্স থাকা উচিত।’
সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যদি ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করে তাহলে সেটা বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে।
আগামী এপ্রিলের শুরুতে চার দিনের সফরে ভারতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি হচ্ছে দাবি করে বিএনপি এর বিরুদ্ধে সোচ্চার।
রিজভী বলেন, ‘ভারত একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল, সেখানে অনেক বুদ্ধিমান ব্যক্তি রয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ কি ভাবছে এটা না ভেবেই যদি সিদ্ধান্ত নেয় তবে বুঝতে হবে ভারত বাংলাদেশকে তাদের উপরাষ্ট্র বানাতে চায়।…ভারত যদি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয় তবে অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া পাওয়ার দিকে নজর দেবে।’
ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে তা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল জনক হবে না উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটা হবে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি চরম আঘাত।’ এতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ভারতের কাছে গুম করে দেয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শাসক দলের নেতা কর্মীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। বলেন, বিএনপির প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে শাসকদের সন্ত্রাসী তৎপড়তা ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতি ছাড়াতে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। অনিয়মের অভিযোগ করেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখার জন্যই জঙ্গিবাদ লালন করছে বরেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ইস্যুকে সরকার জনগণের কাছে অন্ধকারে রেখেছে।
রিজভী বলেন, ‘সরকার যদি প্রকৃত অর্থেই জঙ্গিবাদের নিধন চায় তবে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করুক। জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হলে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে দানবী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।