মুক্তবার্তা ডেস্ক: পৃথিবী জুড়ে যেখানে চিকন হবার ধুম, সেসবের মাঝে মোটা হবার টিপস? খুব অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়? আপনি অবাক হলেও, অনেকেই কিন্তু হবেন না। কারণ বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে ওজনের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ওজন বেশি হলে যেমন শঙ্কা রয়েছে তেমনি ওজন খুব কম হলেও তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর এ অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই খুব দ্রুত ওজন স্বাভাবিক করাটা খুব জরুরি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ওজন বাড়ানোর জন্য কেমন খাবার খাওয়া উচিত।
ক্যালরিযুক্ত খাবার :
দেহের ওজন বাড়ানোর জন্য যেসব খাবারে বেশি ক্যালরি রয়েছে, সেসব খাবার খাওয়ায় মনোযোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে মাছ, মাংস, বাদাম, চকলেট, বিভিন্ন বীজ, শুকনো ফল, পনির ও দুগ্ধজাত সামগ্রী ইত্যাদিতে গুরুত্ব দিন।
সকালে উঠে বাদাম ও কিসমিস :
ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আর কিসমিসের বিকল্প নেই। রাতে ঘুমাবার সময় আধা কাপ কাঠ বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন অল্প পানিতে। সকালে সেগুলো ফুলে উঠলে খেয়ে নিন। সকাল শুরু করুন বাদাম ও কিসমিসের সাথে। বাচ্চাদের জন্যও এটা খুব ভালো একটা খাবার।
পুষ্টিকর খাবার :
যেসব খাবারে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে সেগুলো বেশি করে খান। এক্ষেত্রে শুধু প্রোটিনই নয় অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানযুক্ত খাবার খেতে হবে। এক্ষেত্রে দেহ যেন পর্যাপ্ত উন্নতমানের কার্বহাইড্রেট পায় সেজন্যও মনোযোগ দিতে হবে। এজন্য খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন বাদামি আটার রুটি, কলা, ঘি, নারিকেল তেলের খাবার, মুরগির মাংস, ডিম ও ডাল।
সঠিক নাশতা :
আপনার নাশতাগুলো যেন সঠিকভাবে কাজে লাগে সেজন্য মনোযোগী হন। অস্বাস্থ্যকর নাশতা বাদ দিয়ে পুষ্টিগুণসম্পন্ন নাশতা খাওয়াতে গুরুত্ব দিতে হবে। দেহের ওজন কম হওয়ায় একবারে বেশি খাবার খেতে পারেন না। আর এ কারণে শুধু প্রতি বেলার খাবার খেলেই হবে না, খাবারের মাঝখানে নাশতাও খেতে হবে বেশি করে বা প্রয়োজন মতো। এক্ষেত্রে কার্বহাইড্রেটযুক্ত নাশতা হতে পারে একটি ভালো উপায়। এছাড়া নাশতায় রাখতে পারেন প্রোটিনযুক্ত খাবার ও চীনাবাদাম।
বেশি প্রোটিন :
দেহের ওজন বাড়ানোর জন্য প্রোটিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এক্ষেত্রে প্রাণীজ ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন উভয়ই খেতে হবে। মাছ, মাংসে রয়েছে প্রাণীজ প্রোটিন। পাশাপাশি সয়াবিন, বাদাম, ডাল ইত্যাদি খাবারও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
পানি পান :
শরীর আর্দ্র ও বিষাক্ত পদার্থ মুক্ত রাখতে নির্দিষ্ট সময় পর পর পানি পান করুন। খাবার খাওয়ার আগে অতিরিক্ত পানি পান করা ঠিক নয়। খাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বেশি পরিমাণে পানি পান করলে পেট ভরা মনে হয় ফলে দেহের প্রয়োজনীয় খাদ্য গ্রহণ করা সম্ভব হয় না।
শারীরিক অনুশীলন :
আলসেমি করে বসে থাকলে আপনার শারীরিক কার্যক্ষমতা কমে যাবে। আর এতে কমে যেতে পারে খাওয়ার রুচিও। তাই শারীরিক অনুশীলন করুন প্রতিদিন। তবে সব ধরনের শারীরিক অনুশীলন কাজে নাও আসতে পারে। এক্ষেত্রে ওজন বাড়ানোর জন্য অ্যারোবিক এক্সারসাইজ নয়, বরং ভারি ওজন তোলা কিংবা ইয়োগার মতো অনুশীলন সবচেয়ে ভালো।