মুক্তবার্তা ডেস্ক: রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে প্রতিদিনই আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যাচ্ছেন জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ত্রাণ বিতরণ করছেন রাজনৈতিক-সামাজিকসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংগঠন। তবে ক্যাম্পের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাক্তিগতভাবে ত্রাণ দিতে যাওয়া ব্যক্তিদের বিকেল ৫ টার মধ্যে ক্যাম্প ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এদিকে, উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সন্দেহভাজন ১৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত থেকে সাত রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বিজিবি।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন বিশ্বের অনেক দেশ। এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে প্রতিদিনই দেশে আসছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংগঠনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দ্বিতীয় দিনের মতো রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি মার্ক লো-ককের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। এসময় ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক সাথে থাকবেন।
কক্সবাজারের স্থানীয় একটি হোটেলে রোহিঙ্গাদের জন্য আজও বিভিন্ন সংগঠনের দেওয়া ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণ করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়ুদল কাদের। এসময় তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে মিয়ানমার। এটা বাংলাদেশের কূটনৈতিক বিজয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, “তারা বলেছিলো রোহিঙ্গারা বাঙালি। এদের কোনো নাগরিকত্ব নেই। এরা এদেশের লোক নন। আজকে তারা সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে। সেটা কি আমাদের কুটনৈতিক বিজয় নয়।”
রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম তদারকি করছে সেনাবাহিনী। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণে আগ্রহীদের সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয় করে ত্রাণ বিতরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দশম পদাতিক ডিভিশনের জি ও সি মেজর জেনারেল মাকসুদুর রহমান বলেন, “ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করতে যারা আসছেন দয়া করে সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয় করে আপনারা যদি ত্রাণটা বিতরণ করেন তাহলে একই ব্যক্তি বারবার ত্রাণ পাবে না।”
এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সন্দেহভাজন ১৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত থেকে সাত রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বিজিবি।