মুক্তবার্তা ডেস্ক:খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফুলতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠু হত্যা মামলায় নিজ দলের এক নেতা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে আরও দুইজন এই হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
মঙ্গলবার খুলনার সিনিয়র জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল এর আদালতেতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব হাসনাত রিজভী মার্শাল। মিঠু হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে তিনি এই জবানবন্দি দেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনায় ফুলতলা থানার পুলিশ ছাড়াও বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মুশফিকুর রহমান রিফাক ভূঁইয়া (২৫) ও মো. শিমুল হাওলাদার (২৫) গত ২৮ মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন হত্যার আগ থেকেই তথ্য আদান-প্রদানের কাজে নিয়োজিত ছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পোশাক পরিহিত সশস্ত্র স্যুটাররা গত ২৫ মে রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার দামোদর এলাকায় মিঠু’র অফিসে ঢুকে তাকে গুলি করে। এ সময় তার সাথে থাকা দেহরক্ষী নওশের আলী গাজীকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সরদার রাজ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, মিঠুর বাবা দামোদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আবুল কাশেম ওরফে ছোট কাশেমকে ১৯৯৮ সালের ১৮ আগস্ট এবং ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট মিঠু’র বড় ভাই দামোদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আবু সাঈদ বাদল সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।