মুক্তবার্তা ডেস্ক: রাজধানীতে এক আলোচনায় এই কথা বলেন মান্না। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন:নির্বাচন সহায়ক সরকার:সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক ফোরাম নামে বিএনপিপন্থি একটি সংগঠন।
ছাত্রজীবনে বামপন্থি নেতা মান্না পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সংস্কারের কথা বলে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে নিয়ে নানা সমালোচনামূলক কথা বলে সমালোচিত হন মান্না। পরে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। আর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ছেড়ে গঠন করেন নাগরিক ঐক্য।
দুই দলের বাইরে তৃতীয় শক্তির কথা বলে এই সংগঠন গড়ে উঠলেও পরে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ভাল হয় মান্নার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের সময় মান্নার সঙ্গে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার একটি টেলিফোন আলাপ প্রকাশিত হয়। ওই আলোচনায় প্রকাশ হওয়ার পর সেনা বিদ্রোহে উষ্কানির অভিযোগে মান্নার বিরুদ্ধে মামলা হয়। আবার তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই একটি লাশ ফেলার কথাও বলেন।
একাধিক মামলায় ২১ মাস জেল খাটার পর ২০১৬ সালের শেষ দিকে মুক্তি পান মান্না। মুক্তি পাওয়ার পরও বিএনপিপন্থি বিভিন্ন সংগঠনের আলোচনায় প্রায়ই অংশ নিচ্ছেন তিনি।
নাগরিক কমিটির আলোচনায় বিএনপিকে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার আহ্বান জানান মান্না। তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে সত্য কথা বলতে হবে। পুতু পুতু করে কোনো কাজ হবে না। এসব সেমিনার দিয়ে সিদ্ধান্ত হবে না। নিজের শক্তি খুঁজে বের করতে হবে। আমি চাই বিএনপি রাস্তায় নামুক।’
মান্না বলেন, ‘সিদ্ধান্ত বিএনপিকে নিতে হবে। বেশিরভাগ ভূমিকা বিএনপির লাগবে। নির্বাচন সহায়ক সরকার বলেন আর যাই বলেন রুপরেখা আপনাদেরকে (বিএনপি) দিতে হবে। লড়াইয়েও থাকতে হবে আবার সমঝোতার কথা বলতে হবে।‘