মুক্তবার্তা ডেস্ক: বাংলাদেশ সফরে আসার আগে এ দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা ও বন্ধুত্বের বার্তা পাঠিয়েছেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
গতকাল মঙ্গলবার এক ভিডিওবার্তায় বাংলাদেশে খ্রিস্টধর্মের অনুসারীদের আশীর্বাদও জানিয়েছেন তিনি। পোপের বার্তাটি গতকাল ভ্যাটিকান রেডিওর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
ভিডিওবার্তায় পোপ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তাদের যিশুর পুনর্মিলন, ক্ষমা ও শান্তির বাণী শোনানোর অপেক্ষায় আছি। আর কয়েক দিনের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। দেশটির মানুষকে আমি শুভেচ্ছা ও বন্ধুত্বের বার্তা জানাতে চাই। আমি অপেক্ষায় আছি সে সময়ের, যখন আমরা একত্রিত হব।’
বার্তায় পোপ ফ্রান্সিস কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশে তার সফরের প্রস্তুতিতে যারা পরিশ্রম করছেন, তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে আমার দিনগুলো যাতে আশা এবং অনুপ্রেরণাদায়ী হয়ে ওঠে, সে জন্য আমি সবাইকে প্রার্থণা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আগামী ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসছেন পোপ ফ্রান্সিস। ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি থাকবেন। তবে তার আগে তিনি ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বর মিয়ানমার সফর করবেন।
বাংলাদেশ সফরে পোপ ফ্রান্সিস রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের একটি উপাসনা অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করবেন। ওই অনুষ্ঠানে ১৬ ডিকনকে ধর্মযাজক পদে অভিষিক্ত করা হবে। কার্ডিনাল, আর্চবিশপ ও বিশপদেরও সাক্ষাৎ দেবেন পোপ ফ্রান্সিস।
এছাড়া একটি নাগরিক সমাবেশে অংশ নেবেন তিনি। বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়, চার্চ, সরকারি-বেসরকারি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতেরও সূচি রয়েছে তার।
এর আগে, ১৯৭০ সালের ২৬ নভেম্বর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের পর ঢাকার বিমানবন্দরে এক ঘণ্টার জন্য নেমেছিলেন পোপ ষষ্ঠ পল। সেটাই ছিল বাংলাদেশে কোনো পোপের প্রথম পদার্পণ। এরপর ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছিলেন পোপ দ্বিতীয় জন পল। তিন দশক পর তৃতীয়বারের মতো কোনো পোপ এ দেশে আসছেন।