মুক্তবার্তা ডেস্ক:গাইবান্ধার যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে দুদিন ধরে প্রায় ২৫ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন।
এছাড়া বালাসী-উড়িয়া সড়কসহ বেশ কিছু কাঁচা রাস্তা ও বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, আমন বীজ তলাসহ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকো ও নৌকা দিয়ে পারপার হতে দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসী মানুষ। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বেশকিছু বিদ্যালয়।
ইতোমধ্যে গাইবান্ধার সদর উপজেলার কামারজানির হাঁসধরা, কড়াইবাড়ি, রায়দাসবাড়ি, কীর্তনের পাড়া, সৈয়দপুর, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লালচামার, বেলকার চর ও সাঘাটা উপজেলার দিঘলকান্দি ফুলছড়ি উপজেলার চর কালাসোনা, উড়িয়া, খলাইহারা, বালাসী ঘাটসহ অনন্ত ২৫ গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
বসতবাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দী অনেকে তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে উঁচু বাঁধ, স্কুলের মাঠ ও রেলের জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে কোন রকম মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে ছাপড়া বা ভেঙে আনা ঘর নতুনভাবে তৈরি করছেন।
দুদিন ধরে বানভাসীদের মধ্যে ত্রাণের দাবি উঠলেও রবিবার সকাল পর্যন্ত তাদের মধ্যে কোন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোথাও ত্রাণ বিতরণের খবর পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, বানভাসীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আজ-কালের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যার জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বানবাসী মানুষদের ত্রাণ সহায়তাসহ তাদের খোঁজখবর নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন তদারকি করছে। বানভাসীদের তালিকা অনুযায়ী দ্রুত ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে।