নিয়ম অমান্য করে যানবাহন চালানোয় রাস্তায় বাড়ছে বিশৃঙ্খলা

মুক্তবার্তা ডেস্ক: বাস, প্রাইভেটকার কিংবা মোটরসাইকেল, রাজধানীর রাস্তায় সবধরণের যানবাহনই কম-বেশি নিয়ম অমান্য করে চলায় তৈরি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। ঘটছে দুর্ঘটনাও। বেপরোয়া চলাচল ও পার্কিং, রাস্তা আটকে বাসের যাত্রী ওঠা-নামাসহ বিভিন্ন কারণে বাড়ছে যানজটও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঝুঁকি মুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে শৃঙ্খলা ফেরাতেই হবে সড়কে।

রাজধানীতে চলাচলকারী প্রাইভেটকারের সঙ্গে সঙ্গে বাস-মিনিবাসের বেপরোয়া ও বিশৃঙ্খল চলাচলেও পথ চলার ঝুঁকি বেড়েছে বহুগুণ। নগরীর মোড়গুলোতে যাত্রীবাহী বাসের রাস্তা আটকে যাত্রী তোলার কারণে যানজটও বাড়ছে।

এর বাইরে নগরীতে নতুন উৎপাত মোটরসাইকেল। সিগন্যাল থাক বা না থাক, তীব্র শব্দে হর্ন বাজিয়ে কখনো বেপরোয়া গতিতে, কখনো বা অন্য যানবাহনের ফাঁক গলে ঝুঁকিপূর্ণভাবেই চলাচল করে দুই চাকার এসব যান।

রাজধানীর সড়কগুলোতে বাস, মিনিবাস, প্রাইভেট কারের সঙ্গে চলাচল করে অসংখ্য মোটরসাইকেল। তবে ভিন্ন ভিন্ন এসব যানবাহন সড়কে নিয়ম না মানায় আর বেপরোয়া গতিতে চলায় তৈরি হয় যানজট, বিশৃঙ্খলা আর দুর্ঘটনার ঝুঁকি। যদিও এসব চালকের অধিকাংশই দায় এড়িয়ে দোষটা চাপান অন্যদের ঘাড়ে।’

এক প্রাইভেট কারের চালক বলেন, ‘ঢাকার শহরে সবচেয়ে বাজেভাবে গাড়ি চালায় বাসের ড্রাইভাররা।’

অন্যদিকে এক বাস চালক বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ হলো এই প্রাইভেট কার আর মোটরসাইকেলের ড্রাইভাররা। তারা তো গাড়ি চালতেই পারে না। মনে করেন, ধামধুম ফাঁকফোকর দিয়ে সামনে এসেই ব্রেক করে দেয়।’

ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, ‘সিগন্যাল ছাড়ার সাথে সাথেই ওরা পিকআপ ষাট সত্তরে তুলে গাড়ি টান দেয়।’

পরিবহন বিশেষজ্ঞ বলছেন, যান চলাচলের বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরো বাড়বে।

পরিস্থিতি সামলাতে আইন প্রয়োগে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে ট্রাফিক পুলিশ।

ডিএমপির (ট্রাফিক) অতিরিক্ত কমিশনার মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঢাকার রাস্তায় আমাদের গাড়ির ধারণ ক্ষমতা হচ্ছে তিন লক্ষ। মোটরসাইকেলসহ সেখানে আমাদের গাড়ি আছে প্রায় দশ লাখের বেশি। চালকরা ট্রাফিক আইনটা মানতে চায় না। অবৈধ পার্কিং করে রাখেন। আমাদের আইনের প্রয়োগটা যেখানে আমরা প্রতিদিন আগে দুই থেকে আড়াই হাজার প্রসিকিউশন দিতাম। এখন সেটা বাড়িয়ে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার হাজার করছি।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে চালক, পথচারীসহ সব পক্ষেরই সচেতনতা দরকার।

Related posts

Leave a Comment