মুক্তবার্তা ডেস্ক: ‘নির্বাচন কমিশনকে আস্থা অর্জন করতে হবে। দলগুলো যদি মনে করে ইসি মোটামুটি ভালো তবেই তারা নির্বাচনে আসবে। ভোটার যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে এবং বাড়ি ফিরতে পারে সে ব্যবস্থা ইসিকেই করতে হবে। সেটা বিজিবি, র্যাব এবং পুলিশের মাধ্যমেই করা সম্ভব।’
শামসুল হুদা বলেন, ‘এবার সব দলকেই নির্বাচনে আসতে হবে। সব দলের অংশগ্রহণের জন্য ইসির চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তাদের কাজেকর্মে নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। এমন কিছু করবেন না যাতে আস্থা ক্ষুণ্ন হয়। নির্বাচন কমিশনের প্রতি কিছুটা আস্থা তৈরি হয়েছে, এটাকে ধরে রাখতে হবে।’
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা থেকে সংলাপ শুরু হয়।
সাবেক সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে কার্যকরী করতে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করতে হবে। ইসিকে অনেক শক্তিশালী করতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়ন করতে হবে। ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে গেলে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং করতে হবে। এটা ব্যাপক আকারে করতে হবে।’
শামসুল হুদা বলেন, ‘আইন যেগুলো আছে এগুলো অনেক দিনের, এ ব্যাপারে অনেক আলোচনা হয়েছে। এগুলো দুই ভাগে ভাগ করা উচিত। কিছু জিনিস আছে যা ইসির আওতাভুক্ত, কিছু জিনিস আছে ইসির কিছু করার নেই।’
সাবেক সিইসি বলেন, ‘সীমানা নির্ধারণের ফলে গ্রামে সিট কমে যাচ্ছে। এটা দোষারোপ করা ঠিক হবে না। কেননা, আইন যেভাবে আছে এটা এমনই হবে। কেননা, ট্যান্ড হচ্ছে সবাই শহরমুখী হয়ে যায়। সবগুলো দলের সঙ্গে আলোচনা করে এটার একটা সমাধারণ করতে হবে, এজন্য আইন সংশোধন করতে হবে। শহরে বাড়ানো হবে নাকি গ্রামে বাড়ানো হবে তা নির্ধারণ করে দেয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে এই ডায়ালগে এর সমাধান হবে না। কেননা, নির্বাচনের আর এক বছর বাকি আছে।’
শামসুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করার দায়িত্ব শুধু ইসির একার নয়। অনেক প্লেয়ার আছে, দলগুলোর অনেক দায়িত্ব আছে। গত নির্বাচনে বড় দল বয়কট করে নির্বাচনী কালচারের ক্ষতি হয়েছে। এজন্য দলগুলো সজাগ থাকতে হবে, যেন সবাই নির্বাচনে আসে।’
হুদা বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা যদি বলেন, এটা আর হবে না। এটা পারবেন না। যে পরিবশে এবং অবস্থা আছে এটা মেনে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। ইসি তো এই পরিবর্তন আনতে পারে না। সুতরাং এই নিয়ে আমাদের আলাপই হয়নি। কেননা, এটা রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়। তারা এটা শুধু নির্বাচনের আগে কেন বলবে?’
সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেনা মোতায়েন নিয়ে সংলাপে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। উইথ ইন দি এক্সিসটিং লিগ্যাল ফ্রেইম ওয়ার্ক তাদের নিয়োগ করতে হবে। নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমরা রয়েছেন, এ অবস্থায় আর্মিকে এ ক্ষমতা দেবেন কি না এ প্রশ্ন রয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘যদি আর্মি কোথাও ডেপ্লয় করা হয়, আর্মির অফিসার যদি দেখেন এখানে অনিয়ম হচ্ছে তখন তো ব্যবস্থা নিতে পারেন।’