মুক্তবার্তা ডেস্ক:বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার অধীর অপেক্ষায় দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সরকারি দলের নেতারা তার দেশে ফেরা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা তাতে গা করছেন না। তারা বরং আশা করছেন, আগামী দিনের জন্য নতুন বার্তা নিয়ে আসবেন বেগম খালেদা জিয়া, যাতে দলের সাংগঠনিক কর্মসূচি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে নতুন দিকনির্দেশনা থাকবে। উজ্জীবিত করবে দলকে।
খালেদা জিয়া লন্ডন গেছেন দুই মাস হলো। দেশে ফেরার সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে এত দিন যা শোনা গেছে, সেটি পার হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় বিলম্ব হচ্ছে তার। কবে নাগাদ ফিরবেন তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউ।
গত ১৫ জুলাই বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। ৮ আগস্ট লন্ডনের মুরফিল্ড হাসপাতালে তার ডান চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর শুরু হয় তার পায়ের চিকিৎসা।
গত ৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, পায়ের চিকিৎসা শেষ হলে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে চেয়ারপারসন দেশে ফিরবেন।
লন্ডনে নেতাকর্মীসহ সাধারণের কাছ থেকে অনেকটা দূরে আছেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসার পাশাপাশি পুরো সময়টা পরিবারকে দিচ্ছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। চিকিৎসায় যেন কোনো ছেদ না পড়ে তাই তারেক রহমান নিজেই বিষয়টি দেখভাল করছেন বলে জানা গেছে।
পূর্ব লন্ডনের কুইসস্টোন এলাকায় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন। বাসায় তারেকের স্ত্রী জোবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান রয়েছেন। ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান, তার দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানও আছেন সেখানে।
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তারা আশা করছেন শিগগিরই চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরবেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দেশে ফিরে নির্বাচনী সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবেন।