মুক্তবার্তা ডেস্ক:অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নদীর পাশ ঘেঁষে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠাসহ নানা কারণে দখল যাচ্ছে মাদারীপুরের শিবচরের নদ-নদী। এক শ্রেণির প্রভাবশালীদের এই কর্মকাণ্ডে মুখ খুলতেও ভয় পাচ্ছে স্থানীয়রা। তবে প্রশাসনের চোখের সামনে এভাবে দখল হওয়ায় ক্ষুব্দ তারা। স্থানীয় সংসদ সদস্য দায় চাপালেন প্রশাসনের ওপর। তবে জেলা প্রশাসকের দাবি, নদীগুলোকে দখলমুক্ত করতে অভিযান চলছে।
মাদারীপুরের শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদ। কয়েকটি ড্রেজার বসিয়ে অবাধে এখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত হাজী শরিয়তউল্লাহ সেতুটি। একই অবস্থা উপজেলার ময়নাকাটা নদীরও।
এই নদীটির অনেক অংশ পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায়-এর আশপাশে গড়ে ওঠেছে একাধিক অবৈধ স্থাপনা। স্থানীয়রা জানান, এক সময় এই নদী দিয়ে স্টীমার ও লঞ্চ চললেও কালের বিবর্তনে এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি নদীতে হাসপাতালের বিষাক্ত বর্জ্য ও অব্যাহত দখলে মারাত্মক হুমকির মুখে এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র।
নদ-নদী দখলের কথা স্বীকার করলেন মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নুর-ই-আলম লিটন চৌধুরী। তার দাবি, চোখের সামনে নদ-নদী দখল হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সংসদ সদস্য নুর-ই-আলম লিটন চৌধুরী, ‘ভূমি দখলমুক্ত করা প্রশাসনিক কাজ। আমাদের চোখের সামনে জমি দখল হয়ে যাচ্ছে এবং আমরা দেখছি প্রশাসন নিরব।’
উচ্ছেদ অভিযান চলছে দাবি করে জেলা প্রশাসক মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস জানান, জনবল সংকটের কারণে মাঝে মাঝে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে বেগ পেতে হয়।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কাজ অনেকবার চালিয়েছি। অফিসারের সংকটে কাজ চালাতে আমাদের বেগ পেতে হয়।