ঢাকা শহর অচলের হুমকি হকার নেতাদের

মুক্তবার্তা ডেস্ক:জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ হকার সংগ্রাম পরিষদ নামে একটি সংগঠন আয়োজিত গণ অনশনে হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরিফ চৌধুরী এই হুমকি দেন। অনশনে অংশ নেন মোট সাতজন।

গত অক্টোবরে রাজধানীর গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকায় কর্মদিবসে ফুটপাতে হকার বসতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এরপর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উচ্ছেদও করা হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী অফিস সময়ের পর আর ছুটির দিন কেবল হকাররা ফুটপাতে বসতে পারবে। হকারদের আরেক পছন্দের জায়গা নিউমার্কেট এলাকাতেও তাদেরকে বসতে দেয়া হচ্ছে না।

হকার নেতারা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে রোজার মাসে যে কেনাকাটা হয়, তাতে যে আয় হয়, সেটা তাদের বছরের সর্বমোট আয়ের একটি বড় অংশ। অন্য সময় যেমন তেমন, রোজায় ফুটপাতে বসতে না পারলে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়।

মেয়রকে সাঈদ খোকনকে উদ্দেশ্য করে হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘আপনি আমাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে যা ইচ্ছা ব্যবস্থা নিন। আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে আমরা ঢাকাকে অচল করে দিতে বাধ্য হই।’

মেয়রকে এই হকার নেতা আরও বলেন, ‘আপনারা আমাদের সাথে আলোচনা করুন, আমরা নিজেরাই ফুতপাত থেকে সরে যাব। আপনারা আমাদের সাথে আলোচনা না করেই আমাদের আমাদের হকার কর্মীদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পুড়ে দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মেয়রকে অনুরোধ করেছিলাম আমাদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করার জন্য। এটি আমাদের কথা নয় এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ উপেক্ষা করে মেয়র আমাদেরকে জেল জরিমানা করেছেন।’

হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘আমরা মেয়রকে আমাদের তালিকা দিয়েছি। কিন্তু মেয়র যে তালিকা করেছেন, তাতে আমাদের উল্লিখিত হকারদের নাম নেই বললেই চলে। সেখানে সিটি কর্পোরেশনের লোকদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।’

অনশনে ঢাকার আশেপাশে মহাসড়কের পাশে এলাকাভিত্তিক ভাবে হকার্স মার্কেট নির্মাণের দাবি জানানো হয়। রাজধানীর গুলিস্তান ও মতিঝিল থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড় কোটি টাকা চাঁদা ওঠানো হয় জানিয়ে এই টাকা সরকারি কোষাগারে নিলে হকারদের জন্য মার্কেট নির্মাণে টাকা যোগাড় করা সরকারের জন্য কোনো সমস্যা হবে না বলেও মনে করেন নেতারা।

Related posts

Leave a Comment