মুক্তবার্তা ডেস্ক:ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানোর পরামর্শ দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। তারা বলেছে, ডিজেল ও কেরসিন থেকে সরকারের লাভ করা উচিত নয়।
রবিবার দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থতি ও বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরতে এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি এই পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলছে, গত ডিসেম্বরেই তেলের দাম আরেক দফা কমানোর কথা ছিল। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সব চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। কিন্তু পরে তিনি সে অবস্থান থেকে সরে আসেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ২০১৪ সালের তুলনায় অনেক কমলেও এখন আবার তা ঊর্ধ্বমুখী। আর আগামী কয়েক বছর দাম স্থিতিশীল অবস্থায় আসবে কি না সে বিষয়ে সন্দিহান তারা।
গত বছর ২৫ এপ্রিল সর্বশেষ সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমায় সরকার। এর মধ্যে অকটেন ও পেট্রল প্রতি লিটারে ১০ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটারে তিন টাকা করে কমায়। এর ফলে লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা, কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা, অকটেনের দাম ৮৯ টাকা ও পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা করে বিক্রি হয়। এরও আগে গত ৩১ মার্চ ফার্নেস তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
কিন্তু তেলের দাম কমার সুফল পায়নি সাধারণ মানুষ। কথা দিয়েও বাস ভাড়া এক টাকাও কমায়নি পরিবহন মালিকরা। এই বিষয়টিও সরকারকে তেলের দাম না কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীরা।
তবে সিপিডি বলছে, ডিজেল ও কেরসিনের দাম কমালে সুফল পাবে গরিব মানুষ। কারণ এই দুটি তেল দরিদ্র মানুষই বেশি ব্যবহার করে থাকে।