মুক্তবার্তা ডেস্ক: হাতে ব্র্যান্ড নিউ ডিএসএলআর। আর তা নিয়ে এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘুরে বেড়ানো। আজকাল এ এক নয়া ট্রেন্ড। ফটোগ্রাফির শখের জন্য নিজের ক্রিয়েটিভ দিকটাকে বাঁচিয়ে রাখাটা জরুরি। আর এই ফটোগ্রাফি যারা জাঁকিয়ে শুরু করবেন ভাবছেন, এবং তার জন্য কিনতে চাইছেন ডিএসএলআর ক্যামেরা। তাদের জন্য একটু গাইডলাইন্স রইল। ডিএসএলআর-এর মোডের হালহকিকত রইল এখানে।
অটো মোড
এই মোডে ক্যামেরা আপনাআপনিই অপটিমাল শাটার স্পিড বেছে নেয়। অটোমেটিক অ্যাপারচার, আইএসও এবং ফ্ল্যাশ সেটিংস ঠিক হয়ে যায়। নতুন যারা, তারা এইটা দিয়ে শুরু করতে পারেন।
পোর্ট্রেট মোড
ছবিতে পুরো এলাকা ধরে ফেলতে চাইলে, কিংবা মাঠের গভীরতা ছবিতে ফুটিয়ে তুলতে চাইলে অথবা সাবজেক্টকে ফোকাস করে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করতে চাইলে এই পোর্ট্রেট মোড। চারপাশে অন্ধকার থাকলে আপনা আপনি ফ্ল্যাশ জ্বলে ওঠে।
ম্যাক্রো মোড
কোন ছোট্ট জিনিসের ছবি তুলতে গেলে এই মোড কাজে দেবে। তবে পারফেকশনিস্ট হতে গেলে আলাদা লেন্স লাগবে এর জন্য ।
ল্যান্ডস্কেপ মোড
অনেকটা পোর্ট্রেট মোডের মতোই। অনেক দূরের কোনও সাবজেক্টকেও আলাদা ভাবে ফোকাস করা যায়। ওয়াইড অ্যাঙ্গল লেন্সে দিনের আলোয় ছবি তুললে ভাল হয়।
স্পোর্টস মোড
নামেই পরিস্কার। সাবজেক্ট যদি নাগাড়ে নড়াচড়া করতে থাকে, ছুটতে থাকে, যেমন সাইক্লিং কোনও খেলা, ফুটবল স্টেডিয়াম, এই সব জায়গায় এই মোড লাগবে। তবে এই মোডের জন্য অবশ্যই লাগবে বেশি শাটার স্পিড। সাবজেক্ট ব্লার হবে না, ছবিও ভালই উঠবে।
নাইট প্রোর্ট্রেট মোড
ব্যাকগ্রাউন্ডের আলো ব্যালান্স করে। সামনে সাবজেক্টের ওপর আলো ঠিক করে। রাতের অন্ধকারে ছবি তুলতে গেলে এই মোডে
শাটার প্রায়োরিটি মোড
এই মোডে আপনাকে ম্যানুয়ালি শাটার স্পিড ঠিক করতে হবে। অন্য দিকে আলোর ওপর নির্ভর করে ক্যামেরা অটোমেটিক ঠিকঠাক অ্যাপারচার নেয়। মোশন ফ্রিজ করতে গেলে এই মোড লাগে।
অ্যাপারচার প্রায়োরিটি মোড
এই মোডে আপনি ম্যানুয়ালি অ্যাপারচার ঠিক করবেন। ক্যামেরা অটোমেটিক ঠিকঠাক শাটার স্পিড নিয়ে নেবে।
ম্যানুয়াল
এইক্ষেত্রে ক্যামেরার সবকিছু আপনাকে নিজে ঠিক করতে হবে। অ্যাপারচার, শাটার স্পিড, আইএসও, ফ্ল্যাশ, ফোকাস সব করতে হবে নিজে হাতে, প্রয়োজন মতো।