মুক্তবার্তা ডেস্ক:দারুচিনি কি শুধু মশলা! যা রান্নাঘরে অযত্নে পড়ে থাকে। না, এর রয়েছে ভেষজ ও নানা ওষুধি গুণ। এর মধ্যে লুকিয়ে আছে জটিল রোগ নিরাময়কারী উপাদান। এমনকি কোলন ক্যান্সার থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পারে এই পথ্য। সম্প্রতি চিকিৎসকরা রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে দারুচিনির গুরুত্ব সম্পর্কে এমনই তথ্য দিয়েছেন।
১. ২০১৩ সালে আমেরিকান জার্নাল অফ লাইফস্টাইল মেডিসিনের এক গবেষণায় দেখা যায়, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে দারুচিনি। বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
২. দারুচিনিতে বিদ্যমান সিনামালডিহাইড সাহায্য করে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে। ইঁদুরের উপরে করা একটি গবেষণায় এমন তথ্যই পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অফ ফার্মেসির গবেষকরা। গবেষণায় দেখা গেছে, যে সব ইঁদুরকে সিনামালডিহাইড খাওয়ানো হয়েছে, তাদের উপর কোলন ক্যান্সার রোগ সৃষ্টিকারি উপাদান কার্সিনোজেনের প্রভাব বিশেষ পড়েনি।
৩. তিন টেবিল চামচ মধু আর এক চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ব্রণের উপর লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুই সপ্তাহের জন্য রোজ ফলো করুন এই রুটিন। এতে ব্রণ থেকে রেহাই পাবেন।
৪. মধু আর দারুচিনি গুঁড়ো একসঙ্গে ভালো করে সকালের নাস্তার সময় খেলে শরীরের কোলেস্টেরল অনেকটা কমে যাবে। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে যায়।
৫. শরীরের ক্ষতিকর ভাইরাস দূর করে দারুচিনি। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে দারুচিনি খেলে অপ্রয়োজনীয় ভাইরাস শরীরে বাসা বাধবে না। নিউ ইয়র্ক শহরের টুরো কলেজের গবেষকরা একটি গবেষণায় দেখেছেন, দারুচিনি পেঁয়াজ, রসুন, লবঙ্গ, কোকা-র থেকে এক্ষেত্রে ১০ শতাংশ বেশি কার্যকর।
৬. ডিমেনশিয়া আছে এমন কয়েকটি ইঁদুরের উপরে একটি গবেষণা করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেখানে দেখা গিয়েছে যাদের বেশি পরিমাণে সিনামোমাম জেল্যানিকাম বার্ক দেওয়া হয়েছিল তারা সফলভাবে ওয়াটার মেজ অ্যান্ড অবজেক্ট রেকগনিশন পরীক্ষায় পাশ করেছে। তারা পরিচিত এবং নতুন জিনিসের মধ্যে পার্থক্য ধরতে সক্ষম হয়েছে।
৭. খাবার আগে কিছুটা দারুচিনি পাউডার দুই চামচ মধু দিয়ে খেলে বদহজম আর অ্যাসিডিটির হাত থেকে মিলবে রেহাই।
৮. ঠাণ্ডা লেগে সর্দি হলে ১ টেবিল চামচ হাল্কা গরম মধু আর ১/৪ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো তিন দিন খেলে সর্দির হাত থেকে বাঁচা যাবে।