মুক্তবার্তা ডেস্ক:আজ ৩০ মে, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি নিহত হন।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।
প্রতিবছর এ দিনটি জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে বিএনপি। শোকাবহ দিনটি স্মরণে রাজধানীসহ সারা দেশে আজ দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর-উত্তম খেতাবে ভূষিত করে। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশের প্রধান সেনা প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে জাতীয় গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) এবং পরে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠন করেন।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সারা দেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।
সকাল ১০টায় শেরেবাংলানগরে জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ওলামা দলের উদ্যোগে সেখানে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। কবর প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছে ড্যাব।
এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ড্যাবের উদ্যোগে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও ওষুধ বিতরণ করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক বাণীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদত বার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
