জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার দাবি বিএনপির

মুক্তবার্তা ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামানোর দাবি বিএনপির। তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বলছে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবেই মাঠে থাকবেন সেনা সদস্যরা। এদিকে, সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের মত, সেনা মোতায়েন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দল নয়, নির্বাচন কমিশনের বিষয়। আর এজন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নেই।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনীর নাম নেই। তবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন বিএনপি শাসনামলের মতোই প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রাখবে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনা মোতায়েন করতে প্রয়োজনে গণপ্রতিনিধ্ত্বি আদেশে পরিবর্তন আনা উচিত। পাশাপাশি, সেনা বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিতে যদি সংবিধান সংশোধন করতে হয়, তাও করতে হবে সরকারকে।

তবে সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের মত, সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে সে ক্ষমতা আগেই দেয়া আছে, সেনা মোতায়েনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা সংবিধান সংশোধনের কোনো দরকারই নেই।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে আইনশৃংখলা বাহিনীর সংজ্ঞায় আগে সেনা বাহিনীর নাম যুক্ত থাকলেও তা ২০১০ সালে বদলে ফেলা হয় জানিয়ে, তিনি বলছেন, বিচারিক ক্ষমতা সেনাবাহিনীকে দেয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ সব নির্বাচনেই মাঠে থাকেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।

Related posts

Leave a Comment