মুক্তবার্তা ডেস্ক:বিএনপি নাকে খৎ দিয়েই শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কোন তালবাহানা করে লাভ হবে না। আর যদি গতবারের মতো ধ্বংসাত্মক আন্দোলন করেন তাহলে গণপিটুনির জন্য প্রস্তুত থাকেন। জনগণ এমন গণপিটুনি দেবে পালাবারও সময় পাবেন না।
২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার দলীয় সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এসব কথা বলেন। শেখ সেলিম দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ৯৩ দিনের অগ্নিসন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে বলেন, এরা সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন। এদের সাথে কিসের আলোচনা। বিশ্বের কোথাও কেউ সন্ত্রাসী-জঙ্গি সংগঠনের আলোচনা করে না।
গত নির্বাচনের খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনার আহ্বানের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, কিন্তু তিনি আলোচনায় না এসে আবার অবরোধ-হরতালের নামে অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করে শেখ হাসিনাকে তার কাছে মাথা নত করবে। এমন ভেবেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে; কারও কাছে মাথা নত করার মতো নেতা নয়। কানাডার আদালতে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল অভিহিত করার প্রসঙ্গ তুলে শেখ সেলিম বিশ্ববাসীর মতো দেশবাসীকেও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রত্যাখান করার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনার অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না-বিএনপির এমন দাবির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনারা শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই নাকে খত দিয়ে নির্বাচন করবেন। কোন তালবাহানা করে লাভ হবে না। যদি নির্বাচন না করেন, গতবার সন্ত্রাস ও রাজনীতিক ময়দান থেকে আউট হয়েছেন। আর এইবার যদি নির্বাচন না করেন; তাহলে নিবন্ধনও বাতিল হবে, বিএনপিও থাকবে না। ওটা মুসলিম লীগের চেয়েও খারাপ দলে পরিণত হবে। সুতরাং আপনারা নির্বাচন করেন। হুমকি-ধামকি দিয়ে কিছু লাভ হবে না। আর আপনি আসেন আর না আসেন তাতে আমাদের কি? সংবিধান অনুসারে যার খুশি সে নির্বাচনে আসবে? এই জন্য আপনাকে নির্বাচনে ডাকতে হবে কেন? বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে যদি সন্ত্রাস, পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ ও পুলিশ হত্যা করেন। জনগণের সম্পদ নষ্ট করেন। তাহলে গণপিটুনির জন্য প্রস্তুত থাকেন। জনগণ এমন গণপিটুনি দেবে, পালাবারও সময় পাবেন না। পাকিস্তানেও যেতে পারবেন না। খালেদা জিয়ার বিচারাধীন মামলাগুলো প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, ওনি যদি মনে করেন, যে অপরাধ করেছেন সেই অপরাধ থেকে রক্ষা পাবেন, তা হবে না।
এই বাংলার মাটিতে এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাই এর বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। যতই চেষ্টা করুন না কেন? এই এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সুখে-শান্তিতে থাকবেন; এটা বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না। শেখ হাসিনা সরকারের অধীনের আজকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অপরাধ যেই করুক তার বিচার বাংলার মাটিতে হচ্ছে।