জঙ্গি নেতা কাশেম ‘বড় হুজুর’ নামে পরিচিত ছিলেন

মুক্তবার্তা ডেস্ক:নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা ও ‘বড় হুজুর’ বলে পরিচিত মাওলানা আবুল কাশেম এলাকায় আমের ব্যবসা ও পল্লী চিকিৎসকের কাজ করতেন। কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাঠি ইউনিয়নের উত্তর কোদালকাঠি গ্রামের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি দোকানের বিকাশ নম্বরে এক ভক্তের পাঠানো টাকা নিতে এলে আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা।

কোদালকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর এবং একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার কামাল হোসেন জানান, ‘মাওলানা আবুল কাশেম এলাকায় ডাডিয়ারচর বাজারে একটি দোকানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দিতেন এবং নিজ বাগানের আম বিক্রি করতেন। এরপর কুড়িগ্রামের বাইরে কোনও মাদ্রাসায় তিনি শিক্ষকতা করতেন বলে আমরা শুনেছি।

সাত ছেলে ও তিন কন্যা সন্তানের জনক মাওলানা আবুল কাশেমের স্ত্রীর নাম মমতাজ বেগম। বাড়ির পাশের জমিতে তাদের একটি আম বাগান রয়েছে। ডাডিয়ার চর গ্রামে করিম মণ্ডলের বাড়ির পাশে একটি মক্তবে ছেলে-মেয়েদের আরবী শিক্ষাও দিতেন জেএমবির বড় হজুর বলে পরিচিত এই মাওলানা। বিভিন্ন সময় তিনি স্থানীয় ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্যও দিতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সর্বশেষ এক বছর আগে তাকে রাজিবপুরে নিজ এলাকায় দেখা গেলেও পরবর্তীতে তিনি নিখোঁজ হন।

অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ডাডিয়ারচর গ্রামের ৬ নম্বর ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ‘নদী ভাঙ্গনের কারণে কোদালকাটি ইউনিয়নে বসবাস শুরু করেন। দুই এলাকাতেই তিনি পরিচিত ছিলেন। তার পিতার নাম মৃত শওকত আলী প্রামাণিক।

এদিকে রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃথ্বীশ কুমার সরকার জানান, ‘আমরা বিভিন্ন সময় তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলেও তাকে কখনও এলাকায় পাইনি।’

শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. মেহেদুল করিম এবং জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইও মো. শাহ আলম বাংলা জানান, ‘মাওলানা আবুল কাশেম নামে কোনও জেএমবি সদস্যের তথ্য জেলা পুলিশের কাছে নেই।’

অভিযোগ আছে আবুল কাশেম নব্য জেএমবির বিভিন্ন কার্যক্রমে মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে জিহাদ, ইসলাম, কোরআন ও হাদিসের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে দলটির সদস্যদের হিংস্র করে তুলতেন এই ‘বড় হুজুর’। গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলাসহ বেশ কয়েকটি নাশকতা চালানোর অনুমোদনও তিনি দিয়েছিলেন বলে জানায় পুলিশ।

Related posts

Leave a Comment