গৃহ নির্মাণে ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব

মুক্তবার্তা ডেস্ক:বাড়ি নির্মাণ খাতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের অতি উন্নত এলাকায় ঋণের সুদ বিদ্যমান ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের অতি উন্নত এলাকা বাদে বিদ্যমান ১০ শতাংশের পরিবর্তে সাড়ে ৮ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে হাউজ বিল্ডিং ফিন্যান্স কর্পোরেশন।

এদিকে গৃহনির্মাণে সুদের হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ করার পাশাপাশি এ খাতে ঋণের পরিমাণ ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করার প্রস্তাব করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সরকারি গৃহ ঋণ প্রদানকারী সংস্থাটির প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ প্রস্তাবের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে হাউজ বিল্ডিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কর্পোরেশনের বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী এ প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়। বর্তমানে রাজউক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় ৩ কাঠা প্লটে ৬-৭ তলা বাড়ি নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন করে থাকে।

এসব ঋণে সুদের হার কমানোর পক্ষে যু্ক্তি দিয়ে তারা বলছে, গৃহ ঋণে ব্র্যাক ব্যাংকের সুদের হার সাড়ে ৯ শতাংশ; ইস্টার্ন ব্যাংকের সাড়ে ৮, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ৯, সিটি ব্যাংকের ৮ দশমিক ৭৫, আইএফআইসি ব্যাংকের সাড়ে ৯, আইডিএলসি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৯, ডিবিএইচ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৯ এবং ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাড়ে ১০ শতাংশ সুদ বিদ্যমান রয়েছে। সুতরাং হাউজ বিল্ডিংয়ের ঋণেও সুদের হার কমানো যেতে পারে।

পিডব্লিউডি শিডিউল-২০১৪ অনুযায়ী এ কর্পোরেশনের ঋণের সর্বোচ্চ সিলিং ৫০ লাখ টাকা দিয়ে একজন ঋণগ্রহীতা ওই ৩ কাঠা প্লটে দুই বা আড়াই তলার বেশি নির্মাণ করতে পারেন না। ফলে একজন ঋণগ্রহীতা ঋণে নির্মিত ভবনে নিজে বসবাস করে অবশিষ্ট অংশে ভাড়ার টাকা দিয়ে কর্পোরেশনের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারেন না।

কর্পোরেশন থেকে দ্বিতীয় বন্ধক অনুমোদন দেয়ার নিয়ম প্রচলিত নেই। অন্যান্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানও দ্বিতীয় ঋণ অনুমোদন করে না। অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সিলিং বেশি থাকায় এবং কর্পোরেশনের ঋণের সিলিং ৫০ লাখ টাকা অপ্রতুল হওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট মহানগরীর ঋণগ্রহীতারা কাঙ্ক্ষিত বাড়ি নির্মাণ না করতে পেরে অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

Related posts

Leave a Comment