গাইবান্ধায় ফের অভিযান, গ্রেপ্তার ৬

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে জঙ্গি আস্তানার খোঁজে চতুর্থ দিনের মতো অভিযান চালাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত তিন ধরে গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার কয়েকটি চরে নিষ্ফল অভিযান চালান তারা।

শনিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬০ সদস্য চতুর্থ দিনের মতো সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরখোর্দা, বেলকাসহ বেশকিছু দুর্গম চরে এ অভিযান শুরু করে। আজকের চালানো অভিযানে এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করার খবর পাওয়া গেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল ফারুকের নেতৃত্বে এ অভিযানে জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সাঘাটা থানা পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা অংশ নেন। এছাড়া অভিযানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. মইনুল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. আসাদুজ্জামান রিংকু, সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান অংশ গ্রহণ করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মো. আসাদুজ্জামান রিংকু বলেন, ‘জঙ্গি আস্তানার সন্ধান ও তালিকাভুক্ত মামলার আসামি গ্রেফতার এবং নৌ-ডাকাতি প্রতিরোধে চরাঞ্চলে এ অভিযান চলছে। তবে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ অভিযানে কোনও জঙ্গি আস্তানার সন্ধান বা কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলার সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুর্গম চরগুলোতে জঙ্গি, বা জঙ্গি আস্তানা থাকতে পারে। এছাড়া নদীতে পানি বাড়ার কারণে পাওয়া নৌ-ডাকাতদের উপদ্রব বেড়ে যায়। চরাঞ্চলে পালিয়ে থাকা তালিকাভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা আশ্রয় নেয়। এসব অপরাধী নির্মূল ও গ্রেফতারে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ’

এর আগে, গত মঙ্গলবার সদর উপজেলার মোল্লার চর ও কামারজানি ইউনিয়নের বিভিন্ন চর ও বুধবার ফুলছড়ি উপজেলা এবং শুক্রবার সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন চরে অভিযান চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

অভিযানের প্রথম দিনে সদর উপজেলার মোল্লার চর ইউনিয়নের সিধাইল চরের  বাচ্চু মিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী ওরফে শুকুর (২৮) নামে একজন ডাকাতকে আটক করে করা হয়। ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

Related posts

Leave a Comment