মুক্তবার্তা ডেস্ক: ইরান-ইরাক সীমান্তে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এখন সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে। গতকাল প্রথম রাতটি আতঙ্কিত এবং গৃহহীন মানুষেরা খোলা আকাশের নিচেই কাটিয়েছে।
ভেঙে পড়া ভবনের নিচে বা ধ্বংসস্তুপের ভেতর কোনো মানুষ চাপা পড়ে আছে কিনা সেটিই এখন সবার আগে খতিয়ে দেখছে উদ্ধারকারী দলগুলো। এ বছর পৃথিবীতে যত ভূমিকম্প হয়েছে তার মধ্যে ভয়াবহতম বলে বিবেচনা করা হচ্ছে ইরান-ইরাক সীমান্তে ঘটে যাওয়া এই ভূমিকম্পটিকে।
গতকাল সোমবারের এই ভূমিকম্পে যত মানুষ নিহত হয়েছে তাদের বেশিরভাগই ইরানের সীমান্ত থেকে মাত্র দশ মাইল দূরে অবস্থিত পশ্চিমাঞ্চলের শহর সারপোল-এ-জাহাব এবং কেরমানশাহ প্রদেশের বাসিন্দা। সারপোল-এ-জাহাব শহরের প্রধান হাসপাতালটিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আহতদের চিকিৎসা দিতে এটি হিমশিম খাচ্ছে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর ব্যাপক ভূমিধ্বস হওয়ায় উদ্ধার কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে এবং গ্রামীন এলাকায় পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের বেগ পেতে হচ্ছে। ভূমিকম্পে একটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি হয়তো যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং বাঁধের আশপাশে বসবাসরত মানুষদের অন্যত্র সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
নানান জায়গায় বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আর প্রচুর ভবন ভেঙে পড়ায় শহরের অসংখ্য মানুষ ঠান্ডার মধ্যে পার্কে ও রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। ত্রাণ সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পের পর অন্তত ৭০ হাজার মানুষ এখন আশ্রয়প্রার্থী।
ইরানের সরকারি হিসাবে বলা হচ্ছে, এই ঘটনায় ৪১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সেই তালিকায় কিছু সৈন্য এবং সীমান্তরক্ষীও রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির আর্মি কমান্ডার-ইন-চিফ।