খাদ্যে ভেজাল কমাতে প্রয়োজন জনসচেতনতা

মুক্তবার্তা ডেস্ক: জনসচেতনতা যত বৃদ্ধি পাবে খাদ্যে ভেজাল তত কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, জনসচেতনতা থাকলে খাদ্যে ভেজাল থেকে নিজে এবং অপরকে দূরে রাখা যায়। খাদ্য ভেজাল দূর করতে সকলকে সচেতন হতে হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনায় খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘রোহিঙ্গাদের সেবায় ২১ দিন ও নিরাপদ খাদ্য’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন সব জায়গায় ভেজাল দিচ্ছে। বড় বড় প্রতিষ্ঠান বা হোটেলগুলোতেও খাদ্যে ভেজাল দেয়া হচ্ছে। ভেজাল বিরোধী অভিযানে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।’

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিধিমালা প্রস্তুত করেছি। আমরা উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার খাবার টেবিল পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘বিদেশের মানুষ রাস্তার পাশের খাবারও নিরাপদ মনে করে খায়, আমাদের দেশেও সব খাবারে সেই আস্থা অর্জন করতে চাই। এ লক্ষ্যে কাজ করেছি।’

আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশের একটি মহল চাচ্ছে রোহিঙ্গারা জঙ্গিবাদ ও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ুক। তাদের এ ষড়যন্ত্র সরকার সফল হতে দেবে না। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করছে সরকার।’

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের অবশ্যই তাদের দেশ মিয়ানমার পাঠানো হবে। এজন্য সব ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে। বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারে অবস্থান করছেন। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সফল আলোচনা হবে।

আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, ভেজাল খাদ্যের জন্য মুত্যৃদণ্ডের মতো আইন আছে কিন্তু সেই আইন বাস্তবায়নের পরিবেশ এখনো গঠন হয়নি। এজন্য জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনটি বিষয়ে কাজ করছে সরকার। এর মধ্যে সব রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে হবে, পূর্ণ নাগরিক অধিকার প্রদান করা এবং আবারও তাদের উপর অত্যাচার, বৈষম্য না হয় সেই বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে। এই তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্বব্যাপী জনমত গঠনে কাজ করছে সরকার।’

Related posts

Leave a Comment