ক্ষমতায় থাকতেই এই চুক্তি: খালেদা

মুক্তবার্তা ডেস্ক:বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সম্পাদিত চুক্তির সমালোচনা করে বলেছেন, আরেক মেয়াদে বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকার জন্য এই চুক্তি করেছে আওয়ামী লীগ।

রোববার রাতে গুলশান কার্যালয়ে আইনজীবীদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, “দেশে বর্তমানে সরকার যাদের বলা হয়, তারা আসলে জনগণের সরকার নয়, তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়নি। ভবিষ্যতেও তারা একই পরিকল্পনা করছে কীভাবে আবার ক্ষমতায় আসবে।

“আজকে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে। সেজন্য পাঁচ বছরের জন্য এটা একটা চুক্তি করেছে- পাঁচ বছর তাকে থাকতে দিতে হবে। এই চুক্তি তো তিনি সেজন্য করলেন।
“ওই পাঁচ বছর পরে উনারা বোধ হয় কাগজে-কলমে দেশটাকে লিখে দিয়ে মনে হয় বিদায় নেবে আর কি।” বলেন খালেদা।

কীভাবে আওয়ামী লীগ ফের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে-প্রশ্নের জবাবে খালেদা বলেন, “কীভাবে তারা পাঁচ বছর থাকবে? ভোট হবে না। এই চুরি-চামারি করে, নানা রকম পুলিশকে দিয়ে, ছাত্রলীগকে দিয়ে, তাদেরকে নিয়ে সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যারা আছে, ভয়-ভীতি দেখিয়ে এই নির্বাচনে জেতে। তারা নির্বাচনে জেতে না, ওদেরকে জেতানো হয়- ওই নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি।”

চার দিনের সফরে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নয়া দিল্লি যান। শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এর মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে, যার বিরোধিতা করে আসছিল বিএনপি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও পুনর্নির্বাচিত সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনসহ বিজয়ী দল সমর্থক আইনজীবীরা রাত সাড়ে ৯টায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। অনুষ্ঠানের শুরুতে নবনির্বাচিত আইনজীবীরা বিএনপি চেয়ারপারসনের হাতে ফুলের তোড়া দেন।

গত ২২ ও ২৩ মার্চে অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সভাপতি-সম্পাদকসহ আটটি পদে বিজয় অর্জন করে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদ পেয়েছে সহ-সভাপতি, সহ-সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ ছয়টি পদ।

ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও মাহবুবউদ্দিন খোকন বক্তব্য রাখেন।

Related posts

Leave a Comment