কুমিল্লায় ‘বিভেদ’ নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আ.লীগ

মুক্তবার্তা ডেস্ক:আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, কুমিল্লায় দ্বন্দ্ব নিয়ে কঠোর না হলে এর প্রভাব আগামী সংসদ নির্বাচনেও পড়বে। আর কুমিল্লা ছাড়িয়ে তা অন্য অনেক এলাকায় গিয়ে পৌঁছবে।

মার্চেই ১১টি উপজেলা নির্বাচনের মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগ হেরেছে যার প্রতিটিতেই বড় ব্যবধানে জয় আসতে পারতো। এর প্রতিটিতেই আওয়ামী লীগর দুই জন করে লড়েছেন এবং তাদের সম্মিলিত ভোট বিজয়ী বিএনপি প্রার্থীর চেয়ে অনেক বেশি ছিল। এই নির্বাচনের এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই বিদ্রোহী তিন প্রার্থীকে ছেটে ফেলে দল।

তবে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ভেতরের বিরোধিতা প্রকাশ্য ছিল না। কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়নি। তাই তিন উপজেলায় যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সেখানে এমন ব্যবস্থা নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন যে এলাকা নিয়ে গঠিত, সেটি দুটি সংসদীয় আসনে পড়েছে। এর একটির সংসদ সদস্য হলেন কুমিল্লা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং অপরটির আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। সিটি নির্বাচনে এই সংসদ সদস্যের অনুসারীরা সেভাবে সীমার পক্ষে কাজ করেনি বলে আওয়ামী লীগের মূল্যায়নে উঠে এসেছে। দুই সংসদ সদস্যের প্রভাবিত এলাকা হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রগুলোতে সীমা ভোট কম পেয়েছেন নয় হাজার।

ভোটের ফল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরই আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন দলীয় নেতারা। এতে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সম্পাদকমণ্ডলীর বেশ কয়েকজন নেতা। এই বৈঠকেই বাহারের বিভিন্ন অসহযোগিতার কথা উঠে আসে।

বৈঠকে কুমিল্লা ঘুরে আসা একজন নেতা তার মূল্যায়ন তুলে ধরেন এভাবে-‘বাহার উদ্দিন কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য যতটা সক্রিয়া ছিলেন, মেয়র-প্রার্থীর জন্য ততটাই বিপরীত অবস্থানে ছিলেন।’

বৈঠকে একজন নেতা এমনও বলেন, ‘এই পরাজয়ের পেছনে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও কিছুটা দায়ী। নির্বাচনে জেতার জন্যে তার সমর্থকদের যতটা সক্রিয়া হওয়ার কথা ছিল, তিনি ততটা সক্রিয় হননি।’

আওয়ামী লীগের একজন সম্পাদকমণ্ডলীর আরও একজন সদস্য বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন পরাজয়কে স্থানীয় নেতাকর্মীরা স্থানীয় দুই সংসদ সদস্যের অসহযোগিতাকে দায়ী করছে। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে। সেই বিষয়ে আমাদের দলীয় ফোরামে আলোচনা হবে। তারপর দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’ সেটা কি ধরণের হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে এই নেতা বলেন, ‘সাংগঠনিক যে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়, তাই নেয়া হবে ।’

Related posts

Leave a Comment