কাল থেকে ঢাকায় চার দিনব্যাপী ব্যাসিস এক্সপো

মুক্তবার্তা ডেস্ক:রাজধানীর ঢাকায় আগামীকাল শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী ব্যাসিস এক্সপো। দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি সফট্ওয়ার সেক্টর ব্যাসিস এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। আইটি সেক্টরে বাংলাদেশের দক্ষতা, আবিষ্কার এবং শক্তি ও আইটি ভিত্তিক সেবা আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে তুলে ধরাই এ প্রদর্শনীর লক্ষ্য।

বাংলাদেশে আইটি সেক্টরে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সংগঠন বাংলাদেশ সফট্ওয়্যার ও তথ্য সেবা (ব্যাসিস) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ব্যাসিস সফট্এক্সপো শিরোনামে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।

স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী আগামীকাল সকালে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। এ বছরে প্রদর্শনীর স্লোগান হচ্ছে” ফিউচার ইন মোশন”।

ব্যাসিস প্রেসিডেন্ট মুস্তফা জব্বার বলেন, প্রদর্শনীতে কেবলমাত্র স্থানীয় পণ্য প্রদর্শন করা হবে। মেলায় আমরা শুধু আমাদের আইটি এবং আইটি পণ্য ও সোলুশন প্রদর্শন করব। আইটি সেক্টরে আমরা গত দশ বছরে কতটা এগিয়েছি, সেটি তুলে ধরার সময় এসেছে। আইটি সেক্টরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং সফলতা অর্জনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্তরের লোক যারা তাদের ব্যবসায়িক কাজে বিদেশী হার্ডওয়ার ও সফট্ওয়্যার ব্যবহার করছে, তারা মেলায় দেশে তৈরি এ সকল পণ্য দেখার সুযোগ পাবেন। তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্বমানের সেবা দিয়ে আমাদের অর্থ দেশের অভ্যন্তরেই রাখতে চাই।

ব্যাসিস সফটএক্সপো-২০১৭ এর আহবায়ক সৈয়দ আলম কবির বলেন, স্থানীয় ৪০টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য ব্যাংক, সরকার, টেলিকম অপারেটর, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিদেশী কোম্পানি এবং আইটি ব্যবহারকারীদের সামনে তুলে ধরবেন।

ব্যাসিস’র পরিচালক কবির বলেন, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। এ লক্ষ্যে স্থানীয় ফার্ম এবং ইউরোপীয় বায়ারদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দিতে বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) সেশনের আয়োজন করা হবে।

তিনি জানান, প্রদর্শনী এলাকাটি চারটি জোনে ভাগ করা হবে। এগুলো হচ্ছে, বিজনেস সফটওয়্যার জোন, আইটিস এবং বিপিও জোন, মোবাইল ইনোভেশন জোন ও ই-কমার্স জোন।

এ ছাড়া আইটি ব্যবসা সম্প্রসারণে স্থানীয় ও বিদেশী বিজনেস ম্যাচ মেকিং সেশন আয়োজন করা হবে। প্রদর্শকদের জন্য একটি বিজনেস লাউঞ্জ থাকবে। পাশাপাশি এ বছর নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়, ডেভলোপার সম্মেলন এবং অন্যান্য ইভেন্টও থাকবে মেলায়। মেলায় শিশুদের জন্য একটি অতিরিক্ত ইভেন্ট থাকবে।

এবারের মেলায় ৫ লাখের অধিক দশর্ক আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চারদিনের মেলায় প্রায় ২০টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্থানীয় কোম্পানির জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, ডিজিটাল এডুকেশন এবং ই লার্নিং, মোবাইল এ্যাপলিকেশন ডেভলোপমেন্ট. ইন্টারনেট অব থিঙ্কস্, এ্যাকসেস টু ফিন্যান্স, ক্লাউড কম্পিউটিং ডাটা নেটওয়ার্কিং সিকিউরিটি, এক্সপোর্ট মাকের্ট প্রমোশন, ডেভলোপিং ইনোভেশন ইকোসিস্টেম, ডিজিটাল সাভির্স ডেলিভারি, আইটি মাকের্ট রিসার্জ এবং কোয়ালিটি সার্টিফিকেশনসহ বিভিন্ন টফিকস্ থাকবে। পাশাপাশি আইসিটি সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু এবং দশটিরও বেশি প্রযুক্তি সেশনেরও আয়োজন করা হবে। রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে আগ্রহী যে কেউ বিনা মূল্যে অনলাইনের মাধ্যমে এই সুযোগ লুফে নিতে পারবে। সূত্র: বাসস

Related posts

Leave a Comment