মুক্তবার্তা ডেস্ক:২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার আগেই এটা জনগণের জন্য কতটুকু কল্যাণ হবে সে বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার বিশ্বাস নির্বাচনকে সামনে রেখে দেয়া এই বাজেট সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে জিয়াউর রহমানের ৩৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহিলা দল আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও দুঃস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা।
চার লাখ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়ন কেবল এটা শুধু কঠিন নয়, অসম্ভব ব্যাপার বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘অনির্বাচিত’ সরকার যে বাজেট দিচ্ছে তার কোন দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নেই।’ তিনি বলেন, ‘এ বাজেট জনকল্যাণে নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে দেয়া হয়েছে। এ বাজেট বাস্তবায়ন অসম্ভব।’
ফখরুল বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের অবস্থা ভালো না, শিক্ষা খাতের অবস্থা ভালো না। সেগুলোর জন্য আমরা দেখতে চাই, ওইসব খাতে কী রকম বরাদ্দ হচ্ছে? এখন পর্যন্ত ওইসব খাতের অবস্থা ভালো নয়। সেই কারণে আমরা মনে করি এই বাজেটটি জনগণের কল্যাণে খুব একটা কিছু করতে পারবে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পত্র-পত্রিকায় আমরা দেখেছি, অর্থনীতিবিদরা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো তারা এই বাজেটের যে বিশাল একটা অবয়ব, যেটা এই সরকার বরাবরই বড় অবয়ব দিচ্ছে, বড় একটা বাজেট দিচ্ছে, যেটা সব সময় বলা হচ্ছে… ইট ইজ হাইলি অ্যামবিশাস।’
ফখরুল বলেন, ‘এবার বলা হচ্ছে যে, ঝুঁকি নিয়ে দেওয়া হচ্ছে… অর্থমন্ত্রী নিজেই বলছেন যে শেষ বাজেট ঝুঁকি নিয়ে দিচ্ছেন। ভালো কথা। যারা বাজেট দিচ্ছে, তাদের সেই বৈধ্তা আছে কি না। বৈধতা নেই বলেই আজকে আর্থিক ক্ষেত্রে যত সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।’
অতীতের বাজেট বাস্তবায়নের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করেছেন, ব্যাংকিং সিস্টেম, শেয়ার মার্কেট এবং এডিবির (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) যে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, সেটাও কিন্তু চূড়ান্তভাবে হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমরা পত্রিকায় দেখেছি, গতবছরের বাজেটের ৫৫ পার্সেন্ট থেকে ৬০ পার্সেন্ট এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। তাহলে এই বড় বাজেট দেওয়ার যুক্তিটা কী থাকতে পারে?’
১৫ শতাংশ ভ্যাটেরও সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘এই বাজেটের লক্ষ্যটা কী? লক্ষ্যটা এমন হতো জনগণের কল্যাণের জন্য, তাদের আয় বৃদ্ধির জন্য তাহলে একটা কথা ছিল। আমরা দেখছি যে, ভ্যাটের (মূল্য সংযোজন কর) মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নেওয়া হচ্ছে এবং অনুৎপাদক খাতে ব্যয় বেশি হচ্ছে।’
ফখরুল বলেন, ‘একই সঙ্গে পাওয়ার প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে দুর্নীতি চরম পর্যায় চলে গেছে এবং কোনো জবাবদিহিতা নেই, কোনো টেন্ডার হয় না- এই বিষয়গুলো রয়েছে। সেজন্য আমরা মনে করি, আমাদের দেশের আর্থিক যে নিয়ন্ত্রণ বা আর্থিক যে ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’