মুক্তবার্তা ডেস্ক: ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের অমরোহাতে একটি মসজিদে নামাজ পড়তে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মুসলিমদের অভিযোগ, তাদেরকে অমরোহার সাকতপুরে মসজিদে নামাজ পড়তে দেয়া হচ্ছে না।
ওই ঘটনায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কিষাণ সংঘের এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
কিষাণ সংঘের দাবি, মসজিদটি ‘অবৈধভাবে’ নির্মাণ করা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে মসজিদটির বাইরে এখন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এমন অবস্থায় নিরাপত্তার কথা ভেবে মুসলিমরা ওই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যাবেন বলে চিন্তাভাবনা করছেন।
অমরোহার এক মুসলিম বাসিন্দা গণমাধ্যমকে বলেন, ’আমাদের মসজিদে নামাজ পড়তে দেয়া হচ্ছে না। মসজিদ থেকে আমাদের বাইরে বের করে দেয়া হয়েছে। সেখানে এখন পুলিশ বসে আছে। এখন পরিস্থিতি এমন যে, আমাদের পালিয়ে যেতে হবে।’
পুলিশের দাবি, গ্রামে মসজিদ নেই, মাদ্রাসা আছে। এজন্য এখানে নামাজ পড়তে দিতে অন্য সম্প্রদায়ের লোকজন আপত্তি জানিয়েছে। গোটা ঘটনায় সুখরামপাল রানার নাম প্রকাশ্যে এসেছে। উনি ভারতীয় কিষাণ সংঘের নেতা।
অন্য একটি সূত্রে প্রকাশ, ওই নেতা গ্রামের লোকজনকে জড়ো করে বৈঠক করেন এবং সেখানে তীব্র আপত্তিকর স্লোগান দেয়া হয়। এ সংক্রান্ত এক ভিডিও চিত্র গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তীব্র আপত্তিজনক পোস্ট করা হয়েছে। ওই ঘটনায় উত্তেজনা বাড়লে সেখানে পুলিশের পাশাপাশি পিএসি বাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই নেতা ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করলেও মুসলিমরা বলছেন, যদি তাদের মসজিদে নামাজই পড়তে না দেয়া হয় তাহলে তারা এখান থেকে অন্যত্র চলে যাবেন।
অভিযুক্ত ওই কিষাণ নেতা এতটাই শক্তিশালী যে, তিনি গত ২১ মে এক অনুষ্ঠান চলাকালীন পুলিশের এক কর্মকর্তাকে জুতাপেটা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু উনি আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।