মুক্তবার্তা ডেস্ক:সৌদি আরবে ধর্মত্যাগ করার কারণে এক তরুণকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির এক আদালত। এ নিয়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। খবর আরটি নিউজের।
ঐ তরুণের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ সমবেদনা বা দুঃখ প্রকাশ করছেন আবার কেউবা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
গতকাল মঙ্গলবার আহমাদ আল সামরি নামে ঐ তরুণের আপিল আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। ‘নাস্তিক্যবাদ এবং ধর্ম অবমাননা’র দায়ে গত তিন বছর ধরে কারাভোগ করছেন তিনি।
২০ বছর বয়সী আল সামরি সৌদির উত্তরাঞ্চলের শহর হাফর আল-বাতিনে বসবাস করতেন। তিনি ইসলাম ত্যাগ করেছেন এবং তার মতাদর্শের বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করেছেন। ২০১৪ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।
মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করলে গতকাল তার আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়। আদালতের রায়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায়। কেউ সামরির পক্ষে আবার কেউবা বিপক্ষে মন্তব্য প্রকাশ করে।
অনেকে সৌদি আরবের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, সৌদি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল(ইউএনএইচআরসি)’র সদস্য। তাছাড়া গত রবিবার তারা জাতিসংঘের নারী বিষয়ক কমিশনেরও সদস্য হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে কয়েকজন বলেছেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সৌদি আরব দ্বৈত নীতি অনুসরণ করছে।
টুইটারে অনেকে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে বিশ্ব সচেতনতা তৈরিতে সামরির পক্ষে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আবার অনেকে এ শাস্তিকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ইসলাম ত্যাগের জন্য এ শাস্তিই ঠিক আছে।
রাহাব নামে একজন নারী টুইটারে লিখেছেন, ‘সৌদি আরব বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দাবি করেছে, তারা সব ধরনের বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করে। অথচ আজকে একজন ধর্মত্যাগ করায় মৃত্যুদণ্ড দিল।’
আরেকজন লিখেছেন, সামরি কিছুই করেননি। তিনি কাউকে আঘাত করেননি, আপনারা তাকে হত্যা করছেন এর কারণ তিনি ভিন্নভাবে থাকতে চেয়েছিলেন।