ইনো-সরকার তৃতীয় প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

মুক্তবার্তা ডেস্ক: ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার কার্যাদেশ নিয়ম বহির্ভূতভাবে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ককে (এনটিটিএন) দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি লঙ্ঘন করা হবে সরকারের তৈরি নীতিমালা।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এম এ হাকিম।

গত ৯ আগস্ট সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) বাস্তবায়নাধীন ‘ইনফো-সরকার’ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে সরকারি অর্থায়নে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে।

আইএসপির সভাপতি বলেন, ‘প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে এর আওতায় দুটি প্রাইভেট/ব্যক্তি মালিকানাধীন এনটিএন লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান লাভবান হলেও ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান আইএসপির ব্যবসা। সব খরচ সরকার দিচ্ছে, কিন্তু তাদের দুটো লাইসেন্স থাকার কারণে তারা সবকিছুর মালিক হয়ে যাচ্ছে। এখানে দুটি কোম্পানি সরকারের টাকা দিয়ে শুধু ব্যবসা করবে।’ আরো কিছু লাইসেন্স দিয়ে প্রতিযোগিতা করা হলে সরকার সেখানে লাভবান হতো বলে দাবি করেন তিনি।’

একনেক থেকে এ প্রকল্পকে ৮টি পর্যায়ে দরপত্র আহ্বানের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে দাবি করে এম এ হাকিম বলেন, ‘আর এ দুটি পর্যায়েও কেবল দুটি প্রতিষ্ঠানই দরপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে সামিট কমিউনিকেশনস ১৩০৭টি ও ফাইবার অ্যাট হোম ১২৯৩টি ইউনিয়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। একনেকের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া দুটি প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষার্থে ৮টির বদলে ২টি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান বিসিসির এখতিয়ার বহির্ভূত এবং সরকারের কার্যপ্রণালি-বিধিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

আইএসপির সভাপতি বলেন, দুটি এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান সমঝোতার ভিত্তিতে নিজেদের মধ্যে কাজ ভাগ করে নেয়ায় এ ক্ষেত্রে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার কোনো সুযোগ ছিল না, যা গণখাতে ক্রয়-আইন ক্রয়-বিধিমালার সাথে সাংঘর্ষিক।

এনটিটিএ লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিসের (এএনএসে) কাছে ভাড়া দেয়ার এখতিয়ারপ্রাপ্ত বলে আইএসপির সভাপতি বিটিআরসির সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করেন। আর গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার দায়িত্ব কেবল এএনএস প্রতিষ্ঠানগুলোর। এ ক্ষেত্রে তারা লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করেছে।’

Related posts

Leave a Comment