আনিসুল হকের কুলখানি বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ আসর

মুক্তবার্তা ডেস্ক: সদ্য প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হকের কুলখানি বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবেন।

শনিবার রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে মেয়র আনিসুল হকে জানাজা নামাজের আগে এ কথা জানান তার একমাত্র ছেলে নাভিদুল হক।

দেশবাসীর কাছে বাবার জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, কাজের খাতিরে কেউ যদি আমার বাবার ব্যবহারে দুঃখ পেয়ে থাকেন তাহলে আপনারা তাকে ক্ষমা করে দিয়েন।

বিকেল সোয়া ৪টায় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা সম্পন্ন হয়। এখান থেকে মরদেহ নিয়ে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে শুক্রবার বাদ জুমা আনিসুল হকের প্রথম জানাজা লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক সেন্ট্রাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেয়রের মরদেহ বহনকারী বিমানটি সিলেটে এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর বেলা ১টার দিকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় ফ্লাইটটি। পরে সেখান থেকে বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে তার মরদেহ বনানীতে তার নিজ বাসায় নেয়া হয়।

বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের এই বাসা থেকেই গত ২৯ জুলাই নাতির জন্ম উপলক্ষে ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে লন্ডনে যান আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। প্রায় সাড়ে তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।

শনিবার দুপুরে তার মরদেহ বাসায় নিয়ে আসার পর এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাসায় ভিড় জমান বন্ধু, স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। প্রিয় নগরপিতাকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে ভিড় করেন অনেক নগরবাসীও।

সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এফবিসিসিআই-এর সভাপতি ছিলেন আনিসুল হক। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।

Related posts

Leave a Comment