মুক্তবার্তা ডেস্ক: তার সুর আর বাণী পেন্ডুলামের মত দোলায় বাঙালির অন্তর। সীমাহীন প্রেম, প্রকৃতি, প্রার্থনা, জীবন এবং জগতের সকল অনুভূতি মিশেছে যেন তার গানে। তার সংগীত শ্রোতাকে ভাসায়, অজানা অনুভূতির সন্ধান দেয়। এই সংগীতেই সবচেয়ে আপন করে পাওয়া যায় তাকে। তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ বাইশে শ্রাবণ। বিশ্বকবির ৭৬তম মহাপ্রয়াণ দিবস।
বুকের গহীন কোণে পেতে রাখা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর আসন। সেই হৃদিপদ্মাসনে যে থাকে। যার সঙ্গে নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে বিনিকথা। তার উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন অসংখ্য গান। অন্তরভুক এই গান শুনে আজও সমানতালে নেচে ওঠে বাঙালির অন্তর। কখনো বা সেই অন্তরেই সৃষ্টি হয় মধুরমোহন সংকট। তাই বাঙালি মাত্রই রবীন্দ্র গানে মুগ্ধ।
তবে, শূন্যতা, সংশয়, অতৃপ্তি প্রেম আর প্রেমহীনতার কথা শুধু নয়। রবির গানে নানাভাবে ব্যক্ত হয়েছে, প্রকৃতি,দেশপ্রেম, প্রার্থনাসহ বিশ্বচরাচরের যেন সমস্ত অনুভূতি।
রবীন্দ্রনাথের গান বাণী প্রধান। কিন্তু সুরের ক্ষয় তিনি চাননি। তাইতো, রবীন্দ্রনাথ নিজেই বলেছেন, “ভয় পাছে সুর ভুলি, ছিন্নতার জয় হয়”। না তা হয়নি। তার বাণী আর সুর আন্তর্লীরূপে বিচিত্রব্যাপ্ত।
সময়ের আবর্তে বোধ পাল্টায়। পাল্টে যায় রুচিও। কাল অগ্রসর হচ্ছে বলে রবীন্দ্রসংগীতের বিপত্তি নয়, অগ্রসর হচ্ছে না বলেই বিপত্তি। রবীন্দ্র সংগীত রয়ে যাবে বিশ্বাস, পরিশীলন ও মানবতার অনিরুদ্ধ উৎস হয়ে। অনিঃশেষ।