মুক্তবার্তা ডেস্ক:রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সমকামী প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে আয়ারল্যান্ড। অথচ একসময় ইউরোপের সবচেয়ে রক্ষণশীল সমাজের দেশ বিবেচনা করা হতো এই আয়ারল্যান্ডকে। এমনকি ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সেখানে সমকামিতা ছিল আইনত অবৈধ।
দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের সবচেয়ে বড় অংশীদার দল ফিনে গোয়েল পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এই ইতিহাস গড়তে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৩৮ বছর বয়সী লিও ভারাদকার। তবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে লিও-কে জোটের অন্যান্য শরিক দল ও স্বতন্ত্র সদস্যদের সমর্থন পেতে হবে। সমর্থন পেলে এই মাসের শেষ দিকে লিও আনুষ্ঠানিকভাবে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন।
দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় লিও বলেন, দলীয় প্রধানের এই ‘অসাধারণ দায়িত্ব’ পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। যখন আমার বাবা পাঁচ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আয়ারল্যান্ডে এসে নতুন ঘর বেধেছিলেন, তখন তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি যে একদিন তার ছেল এখানকার নেতা হয়ে বেড়ে উঠবে। আমার জয় এটাই প্রমাণ করে যে, আইরিশ রিপাবলিকে কুসংস্কারের স্থান নেই।
দলীয় নির্বাচনে তিনি আবাসন মন্ত্রী সিমন কোভেনেকে হারিয়েছেন। মধ্য ডানপন্থী এ দলের নেতা কর্মীদের প্রায় ৬০ শতাংশের ভোট লিওর পক্ষে। সমকামী এই রাজনীতিক দায়িত্ব নিলে তিনি আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রীও হবেন।
২০১৫ সালে আয়ারল্যান্ডে সমকামী বিয়ে নিয়ে গণভোটের পর লিওর সমকামী জীবনের কথা প্রকাশিত হয়। তিনি বর্তমানে দেশটির সামাজিক সুরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
চিকিৎসক হিসেবে কাজ করা লিও আইরিশ নার্স ও ভারতীয় এক চিকিৎসকের সন্তান। যৌন জীবনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রগতিশীল ইস্যু ও শ্রমিক অধিকার বিষয়ে লিওর অবস্থান নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা আছে।
