মুক্তবার্তা ডেস্ক: সৌদি আরবসহ চার প্রতিবেশী দেশের বর্জন শিথিল করার উদ্দেশ্যে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন কাতারের আমির।
সঙ্কট শুরু হবার পর প্রথম দেয়া ভাষণে শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেন, যেকোন সমাধানই কাতারের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ হতে হবে।
গত জুনে সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়া এবং ইরানের সাথে মিত্রতার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিশর। কিছুদিন পর তারা কাতারের কাছে কিছু দাবিও উত্থাপন করে।
এদিকে শুরু থেকেই সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাতার।
টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে কাতারের আমির দেশটির বিরুদ্ধে ‘কলুষিত অপবাদের প্রচারণার’ নিন্দা জানান এবং দেশটির জনগণের সহ্যশক্তির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘কাতারের জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবেই চলছে। সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের দ্বন্দ্ব থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করার সময় এসেছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে যেকোন অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করতে আগ্রহী, যতক্ষণ পর্যন্ত কাতারের সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করা হবে।’
চারটি আরব দেশের অবরোধের কারণে গ্যাসসমৃদ্ধ দেশ কাতার তাদের ২৭ লাখ মানুষের জন্য সমুদ্র এবং আকাশপথে খাদ্য আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি কাতারের ওপর আরোপিত দাবি কিছুটা কমিয়ে ছয়টি মূল দাবিতে সীমাবদ্ধ করেছে সৌদি আরব ও তার মিত্র রাষ্ট্ররা। কিন্তু কাতার সেই দাবি মেনে নেবে কিনা সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি।